নির্ধারিত সময়ে কিছু পরেই বর্ষা প্রবেশ করছে। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে জুনের শেষে কিংবা জুলাইয়ের শুরুতে বর্ষা প্রবেশ করতে পারে। তবে এবিষয়ে হাওয়া অফিস কিছু জানায়নি। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২৯ তারিখ অবধি ঝড়-বৃষ্টি হতে পারে বাংলায়।
আজ কলকাতা-সহ বঙ্গে সকাল থেকেই আকাশের মুখ ভার। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, বজ্র বিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি সম্ভাবনা রয়েছে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায়। ইতিমধ্য়েই কেরলে বর্ষা ঢুকে গিয়েছে।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, সময়ের ৩ দিন আগেই কেরলে ঢুকে পড়ে বর্ষা। দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ু কেরলে রবিবার প্রবেশ করেছে। আবহবিদরা যা বলেছেন, যা পরিবেশ তৈরি হয়েছে, তাতে বর্ষা আসতে খুব বেশি দেরি নেই।
আরো পড়ুন: সামনে বাস দেখতে পেয়ে তে’ড়ে এ’লো গজরাজ, রইলো ভিডিও
কেরলের বর্ষা বাংলাকেও প্রভাবিত করবে। যদিও তার আগেই প্রকৃতি জানান দিচ্ছে সে কথা। শুধু প্রহর গোনা শুরু। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, দক্ষিণবঙ্গে বিক্ষিপ্তভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা। তার সঙ্গে বেশ কিছু জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ দমকা হাওয়া বইবে।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির প্রভাব ফের বাড়বে। হাওয়ার গতিবেগ ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার থাকবে। স্বাভাবিকভাবেই বাড়ি থেকে বেরোনো বা অফিস থেকে বাড়ি ফেরার পথে সতর্কতা অবলম্বন করতে বলেছে হাওয়া অফিস।
অপরদিকে, আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ৩১ তারিখ থেকে ২ জুন অবধি দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির প্রভাব একটু কমবে। তার পর ফের বাড়বে বৃষ্টি দক্ষিণবঙ্গে তবে তাপমাত্রা কোনও উল্লেখ যোগ্য পরিবর্তন হবে না বলেই জানিয়েছে, হাওয়া অফিস।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী ৪ থেকে ৫ দিন উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে হালকা-থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টির প্রভাব একটু বেশিই থাকবে দার্জিলিং, কালিংপং, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, কোচবিহারে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর আরও জানিয়েছে, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, কোচবিহারে পয়লা জুন থেকে বৃষ্টির প্রভাব বাড়বে অনেকটাই। তাই ফের আগের বারের দৃশ্য ফিরতে পারে।