করোনার দ্বিতীয় ঢেউ পার করে এসেছি আমরা। আপাতত সুস্থ-সবল ভাবে জীবন যাপন করার স্বপ্ন আরো একবার দেখছি আমরা। কিন্তু মনে রয়েছে একটি অজানা আশঙ্কা। আর কিছু মাসের মধ্যেই আমাদের ভারতবর্ষে চলে আসবে করোনার তৃতীয় ঢেউ। অক্টোবর মাস থেকেই সম্ভবত আরো একবার করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে পারে। এবার প্রাপ্ত বয়স্কদের পাশাপাশি শিশুদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে প্রবলভাবে। সম্প্রতি জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে গঠিত বিশেষজ্ঞদের একটি কমিটি জানান এই কথা।
কমিটি কর্তৃপক্ষদের রিপোর্টে বলা হয়েছে, দেশের ইতিমধ্যেই আছড়ে পড়েছে করোনার তৃতীয় ঢেউ। জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহ থেকে দেশে আর ভ্যালু, এক নম্বরের উপর উঠে গেছে। এক্ষেত্রে বলে রাখা ভালো, দেশে একজন সংক্রমিতের থেকে কতজন আক্রান্ত হচ্ছে, তা বোঝা যায় এই আর ভ্যালু থেকে।
যতদিন এগোচ্ছে, মানুষ অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে আরও সতর্ক হয়ে এগিয়ে চলেছে ভবিষ্যতের দিকে। ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জমা দেওয়া ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, তৃতীয় ঢেউতে বিপুল সংখ্যক শিশু সংক্রমিত যদি হয়ে যায়, তাহলে চিকিৎসার জন্য যত সংখ্যক চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, চিকিৎসার সরঞ্জাম, পরিকাঠামো প্রয়োজন তার নেই আমাদের দেশে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এই রিপোর্ট সামনে আসার পর বিশেষজ্ঞদের একাংশের মধ্যে উদ্বিগ্ন ছড়িয়েছে। ইতিমধ্যেই বাংলায় পুজোর তোড়জোড় হয়ে গেছে। একদিকে বাঙ্গালীদের উৎসব অন্যদিকে তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা, দুটি মিলিয়ে আগামী সময় যে কতখানি ভয়ঙ্কর আসতে চলেছে তা নিয়ে ইতিমধ্যেই উদ্বিগ্ন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
গাণিতিক মডেল এর উপর নির্ভর করে সম্প্রতি আইআইটির একটি গবেষণা ও জানিয়েছে, করোনার তৃতীয় ঢেউ চরম আকার ধারণ করবে অক্টোবর মাসের শেষের দিকে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশে তৈরি বিশেষজ্ঞদের কমিটি সম্প্রতি এই গবেষণাতেই দিয়ে দিল সিলমোহর।