সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

আমাজনে’র আ’দি’বা’সী জন’জাতি’র শে’ষ বৃ’দ্ধে’র মৃ’ত দে’হ উ’দ্ধা’র ঘিরে চা’ঞ্চ’ল্য!

আমাজনের আদিবাসী জনজাতির শেষ বৃদ্ধের মৃত দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য!

আমাজনের গভীর জঙ্গলে আদিবাসী জনজাতি সম্প্রদায়ের এক বৃদ্ধের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ইনি ওই জনজাতির শেষ সদস্য ছিলেন বলে জানা যাচ্ছে। তার মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গেই শেষ হয়ে গেল একটি জনজাতির অস্তিত্ব। ওই ব্যক্তি আমাজনের অরণ্যের গর্তে বসবাস করতেন। ম্যান অফ দ্যা হোল নামে সংবাদ মাধ্যমের কাছে পরিচিত ছিলেন তিনি। কারণ তিনি গর্তেই বসবাস করতেন।

বছরের পর বছর ধরে গর্তের মধ্যেই থাকতেন তিনি। শিকার ধরার জন্য আরেকটি গর্তের মধ্যে ফাঁদ পাততেন। তার দেহ পাওয়া গিয়েছে একটি হ্যামকে। দুটি গাছের ডালে দড়ি দিয়ে বাধা দোলনাতে তার নিথর দেহটি নজরে পড়ে। তার মৃত্যু কিভাবে হয়েছে তা জানা যায়নি এখনো। প্রাথমিকভাবে তার দেহে কোন অস্বাভাবিক কিছু নজরে পড়েনি।

ওই ব্যক্তির শরীরে কোন জোরজবরদস্তি কিংবা হিংসা বা আঘাতের কোন চিহ্ন নেই। তার স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে বলেই দাবি করা হচ্ছে। যদিও তার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানার জন্য ময়না তদন্তের জন্য দেহ নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ওই ব্যক্তি গত ২৬ বছর ধরে একাকী জীবন কাটাচ্ছেন। ওই এলাকার মানুষেরা তার উপরে দৃষ্টি রাখতেন। তার জন্য খাবার-দাবার রেখে দেওয়া হত।

বছরের পর বছর ধরে আমাজনে একাই থাকতেন ‘গর্তের মানুষটি’। অরণ্যের জীবজন্তু ধরতে জন্য গর্ত কেটে ফাঁদ পাততেন। এমনকি, সেই গর্তেই নিজের জন্য আস্তানা গড়েছিলেন। সে কারণেই তাঁর নাম হয়ে গিয়েছিল ‘গর্তের মানুষ’।

সত্তরের দশক থেকে আমাজনের ওই জনজাতির উপরে বারবার আঘাত করা হয়েছে। অরণ্যের জমি দখলের লোভে তাদের উপর বারবার আঘাত করা হয়েছে। আবার পশুপালকদের দলে নিজেদের ফায়দা তোলার জন্য তাদের উপর অত্যাচার চালানো হয়। ওই বৃদ্ধ ওই এলাকাতে এতদিন একাই বসবাস করতেন বলে জানা যাচ্ছে। তার আসল নাম বা তার জনজাতি সম্পর্কে বিশেষ কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।

ব্রাজিলের রনদোনিয়া প্রদেশে আমাজনের অরণ্যের গর্তে বাস করা ওই বৃদ্ধের নাম কী, তা কেউ  জানেন না। তবে ‘ম্যান অব দ্য হোল’ নামেই সংবাদমাধ্যমে পরিচিত ছিলেন তিনি। কারণ, বছর ষাটেকের ওই বৃদ্ধের আস্তানা ছিল আমাজনের অরণ্যের একটি গর্ত।