সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

SSC থেকে ন’জ’র ঘোরোনাই আসল লক্ষ্য, আচার্য বদল নিয়ে প্রথম মু’খ খুললেন রাজ্যপাল

আরও একবার প্রকাশ্যে এল রাজ্য ও রাজ্যপাল সংঘাত। রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় রাজ্যের সমস্ত সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য বদল নিয়ে মুখ খুললেন। তাঁর মতে, এসএসসি দুর্নীতি মামলা থেকে নজর ঘোরাতেই রাজ্য সরকার এই ধরনের ভাবনাচিন্তা করছে।

এদিন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় বলেন, প্রতিদিন দুর্নীতির বেলুন বড় হচ্ছে। যারা পরীক্ষায় অংশ নেয়নি, মেধাতালিকায় নেই, তাদের চাকরি দেওয়া হয়েছে। এটা এসএসসি দুর্নীতি মামলা থেকে নজর ঘোরানোর কৌশল মাত্র।

শিক্ষার মন্দিরে এই ধরনের দুর্নীতি আমরা মানতে পারব না। এভাবে কিছু পড়ুয়ার ভবিষ্যৎ নষ্ট হচ্ছে। কিছু যোগ্য ছেলেমেয়ে প্রতিনিয়ত আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। আমার দায়িত্ব সংবিধানকে রক্ষা করা।

আরো পড়ুন: বিস্ময়কর অফার, 249-299-349 টা’কা’র প্ল্যান রিচার্জ করলেই মি’ল’বে Jiofi ডিভাইস বিনামূল্যে

রাজ্যপালের ক্ষমতা খর্ব করতে চাইছে রাজ্য সরকার। কিন্তু যতক্ষণ না আইন আনা হচ্ছে। কোনও লিখিত বিজ্ঞপ্তি জারি হচ্ছে, ততদিন ভাবছি না। গত বৃহস্পতিবার নবান্নে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়।

ওই বৈঠকেই রাজ্যের সমস্ত সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে আচার্য পদে বদল নিয়ে আলোচনা করা হয়। প্রস্তাব করা হয় রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের বদলে আচার্য পদে আনা হোক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

তবে শুধু বাংলা নয় দক্ষিণ ভারতের একাধিক অবিজেপি রাজ্য যেমন কেরল, তামিলনাড়ুও আচার্য পদে মুখ্যমন্ত্রীকে আনার পক্ষে। বাংলায় আইন সংশোধনের প্রক্রিয়ার প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছিল বহু আগে।

২০০৭ সালে বিচারপতি মদনমোহন পুঞ্চির নেতৃত্বে ‘পুঞ্চি কমিশন’ তৈরি হয়। এটি সেই কমিশনের ২৭৩ টি সুপারিশের মধ্যে একটি ছিল। রাজ্য সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য পদে বসুন মুখ্যমন্ত্রী।