সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

কলকাতার ঘুম উড়িয়েছে “মহিলা গ্যাং”, চলন্ত গা’ড়ি থেকে চলছে লুটপাট, উ’ঠে এ’লো বিস্ময়কর ত’থ্য

কলকাতার বুকে চলছে লুটপাট, কিন্তু তাও সেটা মহিলা গ্যাং এর মাধ্যমে। এই দৌরাত্ম্য দেখে হতবাক পুলিশ। কোনোভাবেই পুলিশের হাতের নাগালে আসছে না সেই গ্যাং। সূত্রের মাধ্যমে জানা যাচ্ছে, বাড়ির গৃহবধূদের দিয়েই তৈরী করা হয়েছে গ্যাং। তাই সহজেই ধরা যাচ্ছে না তাদের। তবে মনে করা হচ্ছে, গৃহবধূ দের দিয়ে এই গ্যাং তৈরী করা হলেও এর মাস্টার মাইন্ড বাড়ির কর্তাই। সেই বানিয়েছে এই দল, আর তাদের দ্বারাই চলছে অবাধ লুটপাট,খাঁস কলকাতার বুকে। এই লুটপাট একেবারে অভিনব পদ্ধতিতে করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। কারণ পুলিশের পোশাক পড়ে গাড়ি থামিয়ে অবাধে চলছে তাদের এই কাজ।

নিজের স্ত্রী সহ নিজের ভাইয়ের স্ত্রীকে সামিল করা হয়েছে এই কাজে। বিমানবন্দরের কাছে এক গাড়ি থেকে লুট করে তারা, কিন্তু তাদের ভাগ্য এতটাও প্রসন্ন নয় যে ,কোনো খোঁজ পাওয়া যাবে না তাদের। সিসিটিভি ফুটেজে সমস্তটাই ধরা পরে তাদের কর্মকাণ্ড ও পুলিশ সেই ফুটেজ দেখে ততক্ষণাৎ বিধাননগর দক্ষিণ এলাকার নবপল্লি থেকে বিশ্বনাথ দে নামে সেই ভুয়ো পুলিশকে একেবারে হাতেনাতে ধরে। পরে পুলিশ সূত্রে আরো স্পষ্ট জানা যায়, এই বিশ্বনাথ দে এক রুটের অটো ইউনিয়নের নেতা। তাকে হাতেনাতে ধরার পর, পুলিশি জেরায় জানা যায়, এর আগেও বহু অপরাধ করেছে সে। সামনের দিকে নিজের স্ত্রী ও ভাইয়ের স্ত্রীকে রেখে প্রচুর অপরাধমূলক কাজের সাথে যুক্ত ছিল সে। বাইরে তিনি একজন ভুয়ো পুলিশ হিসেবেই পরিচয় দিত, আর সেই সেজে পর্দার আড়ালে অপরাধমূলক কাজ করত।

সে জানায় রবীন্দ্র সরোবর থানা এলাকার মতিলাল নেহরু রোডের এক বাসিন্দা বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল, আর সেই গাড়িকে উদ্দেশ্য করেই তারাও পরিকল্পনা মাফিক সেখানে পৌছায়, আর সময় মতো লুটপাট চালায়। তবে এক অভিনব পদ্ধতিতে। হঠাৎই রাস্তার মাঝে পুলিশের পোশাক পরে গাড়ি থামায় সে, আর দুই মহিলাকে সামনে এগিয়ে দিয়ে বলে, তারা নিমন্ত্রণ সেরে বাড়িতে ফিরতে পারছে না, যদি তাদের বাড়িতে নামিয়ে দেওয়া হয় তাহলে সুবিধা হয়।এই বলে সেই মহিলা দুইজনকে গাড়িতে তুলে দেওয়া হয়। তাদের কথামত চিংড়ি ঘাটার কাছে তাদের নামিয়ে দেওয়ার পর লক্ষ্য করে তার সেই ল্যাপটপ ও মূল্যবান ব্যাগ উধাও। এর পরেই প্রগতি থানায় অভিযোগ দায়ের করার পরেই, পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে শনাক্ত করে তাদের।