সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

মন্দিরের সম্পত্তি অ’ন্য ধ’র্মে’র কা’জে লাগানো যা’বে না, নি’ষে’ধা’জ্ঞা জা’রি কর্ণাটক সরকারের

হিন্দু রিলিজিয়াস অ্যান্ড চ্যারিটেবল বিভাগের ফান্ডের টাকা মন্দির ব্যতীত অন্য কোনো খাতে খরচ করার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করলো কর্ণাটক সরকার। ২৩ শে জুলাই ২০২১ সালে কর্ণাটক সরকারের তরফ থেকে এই নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়েছে। কর্ণাটকের HR&CE বিভাগের তরফ থেকে সম্প্রতি এই মর্মে একটি নির্দেশিকা প্রকাশ করে জানানো হয়েছে যে, হিন্দু মন্দিরের থেকে প্রাপ্ত ধন আর সম্পতির ব্যবহার অন্য কোনও অ-হিন্দু সংস্থা এবং অ-হিন্দুদের কল্যাণের জন্য ব্যবহার করা যাবে না।

প্রসঙ্গত সম্প্রতি হিন্দু মন্দির থেকে প্রাপ্ত ধন অন্য ধর্মের মানুষদের কল্যাণের জন্য বিতরণ করার খবর প্রকাশ্যে আসার পরেই বিশ্ব হিন্দু পরিষদ বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছিল। তাদের দাবি ছিল, মন্দিরের থেকে প্রাপ্ত ধন শুধু হিন্দুদের জন্যেই ব্যবহার করা যাবে। অন্য কোনও ধর্মের জন্য ব্যবহার করা যাবে না। কর্ণাটক সরকার মন্দিরে সেবা করা পুরোহিতদের পাশাপাশি মসজিদের ইমাম আর মোয়াজ্জেনদের মাসিক ৩ হাজার টাকা করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই বিতর্ক দানা বাঁধে।

বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতারা এই খবর পেয়েই বিরোধিতা করতে শুরু করেন। সংশ্লিষ্ট সংস্থার তরফ থেকে এই মর্মে তাদের অভিযোগ জানিয়ে রাজ্যের মন্ত্রীকে একটি স্মারকলিপিও জমা দেয়। এর পরেই কার্যত কর্ণাটক সরকার মন্দিরের টাকা ব্যবহার করে ইমাম ও মোয়াজ্জেনদের ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল করতে বাধ্য হয়। রাজ্যের মন্ত্রী কোটা শ্রীনিবাস পূজারী জানিয়েছেন যে বিভিন্ন হিন্দু সংগঠনের তরফ থেকে বাবা আবেদনের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে কর্ণাটক সরকার।

তিনি আরো জানিয়েছেন, HRCE বিভাগ থেকে অন্য কোনও ধর্মের মানুষ এবং ধার্মিক স্থলে দেওয়া আর্থিক সহায়তা তৎকাল রদ করার আদেশও জারি করা হয়েছে। রাজ্যের মোট ৭৬৪ অন্য ধার্মিক স্থলে HRCE থেকে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছিল। তবে বিভিন্ন সংগঠনের তরফ থেকে সমালোচনা এবং বিক্ষোভের সম্মুখীন হয়ে সেই কাজ বন্ধ করা হয়েছে।