সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

আলুর দা’ম আ’রো খানিকটা বাড়লো, নাজেহাল অ’ব’স্থা হ’বে মধ্যবিত্তদের

বাঙালি রান্নায় ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে আলু। আলু ভাজা, আলুর তরকারি এগুলি বাঙালির প্রিয় পদ। বাঙালির রান্নার সেই আলু কিনতে গিয়ে নাকানি চুবানি খাচ্ছেন আমজনতা। আমজনতাকে বিগত কিছু দিন ধরে বাজারে গিয়ে আলু কিনতে রীতিমতো বেগ পেতে হচ্ছে । সেই চিন্তা আরও বাড়ল।

গত কয়েক দিনে অধিকাংশ জেলাতেই বিক্রেতারা আলুর দাম বেড়েছে বলে জানিয়েছেন। এই আলুর দামে চিন্তা বাড়াচ্ছে ক্রেতা থেকে বিক্রেতা সকলেরই। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বিস্তীর্ণ এলাকায় জ্যোতি আলু বিক্রি হচ্ছে ৩২ থেকে ৩৫ টাকা দরে।

অন্যদিকে চন্দ্রমুখি আলু বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা দরে। গত এক মাসে আলুর দাম প্রতি কেজি গড়ে তিন টাকা থেকে পাঁচ টাকা বেড়েছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। বিগত কয়েক বছর আলুর দাম ছিল এই সময় কেজি প্রতি ১৫ থেকে ১৮ টাকা।

আরো পড়ুন: অজয় দেবগণকে বি’য়ে করলেও এখনো কাজলের প্রথম প্রে’ম এই অভিনেতা!

চন্দ্রমুখী আলুর প্রতি কিলোর দাম ছিল ২২ থেকে ২৫ টাকা। গত বছরের তুলনায় এ বছর প্রতি কেজিতে আলুর দাম এক ধাক্কায় ১৭ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। সাধারণ মানুষকে এই বৃদ্ধি স্বাভাবিক ভাবেই সমস্যায় ফেলেছে।

রাজ্যের মধ্যে আলু উৎপাদনে প্রথম সারিতে রয়েছে বর্ধমান জেলা। সেই জেলার সর্বত্র আলুর দাম বেড়েছে। জেলার বিভিন্ন বাজারে জ্যোতি আলু বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ২৪ থেকে ২৫ টাকা দরে।

অন্যদিকে চন্দ্রমুখী আলু বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৩৯ থেকে ৪০ টাকা দরে । অন্য বছরগুলোতে এই সময় জ্যোতি আলুর দাম থাকে কেজি প্রতি ১৮ থেকে ২০ টাকার আশপাশে এবং চন্দ্রমুখী আলুর দাম অন্য বছরের ২৫ টাকার আশপাশে। সেই দাম এক লাফে এতটা বাড়ায় সমস্যায় আমজনতা।

যদিও হিমঘরগুলি বন্ধ থাকায় গত মাসে আলুর দাম আরও বেশি ছিল। হিমঘরগুলি খুলে যাওয়া ও বাইরের রাজ্য থেকে আলু আসায় খানিকটা দাম কমে এই দাম দাঁড়িয়েছে। কিন্তু সেই দামও সাধারণের নাগালের বাইরে।