যে কোন পুরুষই সুন্দরী নারীদের প্রতি বিশেষভাবে আকৃষ্ট হয়। সুন্দরী নারীদের পছন্দ করেন না এমন পুরুষ প্রায় নেই বললেই চলে। এমনও অনেক পুরুষ আছেন যারা কোনো অপরূপা সুন্দরী নারী দেখলেই লজ্জা শরমের মাথা খেয়ে তার দিকে হাঁ করে তাকিয়ে থাকেন। তবে সুন্দরী নারী দেখলেন আর প্রেমে মজে গেলেন এমনটা যেন না হয়। কারণ গবেষণায় প্রমাণ মিলেছে যে খুব সুন্দরী নারী পুরুষের শরীর স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তাই সুন্দরীদের থেকে পুরুষদের সতর্ক থাকতে বলা হচ্ছে।
২০১০ সালে স্পেনের ভ্যালেন্সিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরুষদের একদল গবেষক বলছেন সুন্দরী নারীকে জীবনসঙ্গী করলে পুরুষের স্বাস্থ্যের জন্য তা অত্যন্ত ক্ষতিকর হতে পারে। তাই তারা বিশেষ সতর্ক করেছে। আকর্ষণীয় নারীর সংস্পর্শে আসার সাথে সাথে পুরুষের মধ্যে মানসিক চাপ বেড়ে যায়। এমনকি সুন্দরী নারীদের সঙ্গে পাঁচ মিনিটের সামান্য সাক্ষাতেই পুরুষদেহে কোট্রিসল প্রবাহ বেড়ে যেতে পারে। এমনকি এই চাপ বাড়ার কারণে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যাওয়ারও উপক্রম হয়।
ভ্যালেন্সিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা ৮৪ জন স্বেচ্ছাসেবী পুরুষের উপর গবেষণা চালিয়ে এই তথ্য প্রকাশ করেছেন। গবেষকরা দাবি করছেন, সুন্দরী নারীর সান্নিধ্যে পুরুষের মধ্যে মানসিক চাপ বৃদ্ধি পায়। এই চাপ পুরুষদের শরীরে কোর্ট্রিসল নামের বিশেষ হরমোনের প্রবাহ বৃদ্ধি করে। ডায়াবেটিস পুরুষকে নপুংসক পর্যন্ত করে ফেলতে পারে। তবে তারা আরও বলেছেন যে অল্প মাত্রায় কোট্রিসলের প্রবাহ ক্ষতিকর নয়। বরং তা মানুষের কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে।
আবার অনেক পুরুষ মহিলাদের থেকে দূরে থাকতে ভালবাসেন। গবেষকদের মতে, তাদের জন্য সুন্দরীরা আরও অনেক বেশি ক্ষতিকর। ৮৪ জন স্বেচ্ছাসেবীদের ভিন্ন ভিন্ন সময়ে এককভাবে একটি ঘরে বসিয়ে সুডোকু পাজলের সমাধান করতে বলা হয়। ঠিক এইসময় এক অপরিচিত সুন্দরী নারীকে সেই রুমে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়।
আর তাতেই নাকি উপস্থিত পুরুষের মানসিক চাপ বেড়ে যায়। সুডোকু পাজলের সমাধান থেকে মন ডাইভার্ট হয়ে যায় এবং অনেকের শরীরে কোট্রিসলের প্রবাহ বেড়ে যায়। কিন্তু নারীর জায়গায় যদি কোনো পুরুষ রুমে ঢুকত তাহলে স্বেচ্ছাসেবীদের মধ্যে কোনো পরিবর্তনই লক্ষ্য করা যায়নি।
গবেষণাটি থেকে বিজ্ঞানীরা এই সিদ্ধান্তে আসেন যে খুব কম পুরুষই সুন্দরীদের পাশ কাটিয়ে চলতে সক্ষম। তাই, পুরুষদের উদ্দেশ্যে গবেষকরা বলেছেন যে নিজের ভালো চাইলে সম্ভব হলে সুন্দরীদের এড়িয়ে চলাই শ্রেয় হবে।