সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

কো’ভি’ড চিকিৎসার কারণে রাজ্যের কাছে ব’কে’য়া ৫৯ কো’টি! হাইকোর্টে হাওড়ার নামি হাসপাতাল

গত বছরে করোনা পরিস্থিতির কারণে হাওরার বেসরকারি হাসপাতালকে রাজ্য সরকার দখলে এনেছিল এবং রাজ্য সরকারের তরফ থেকে ঘোষণা করা হয়েছিল যে ওই হাসপাতালে শুধুমাত্র সরকারের তরফ থেকে পাঠানো করোনা রোগীদের নিতে। ঐ সমস্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল যেন কোন টাকা না নেয়, রোগের চিকিৎসার জন্য যা বিল হবে সেই বিলের টাকা মেটাবে রাজ্য সরকার।

গত বছরের ৩১ শে মার্চে করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য ৩০০ টি বেডের ব্যবস্থা করেছিল ওই হাসপাতাল। সংকটজনক রোগিদের চিকিৎসার জন্য ওই হাসপাতালে নিয়ে আসা হতো। রোগীর চিকিৎসা সঠিক মত হত কিন্তু তারপরে যে বিল তৈরি হতো তা সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হচ্ছিল না। কোন হাসপাতালে অর্থনৈতিক অবস্থা যদি ভালো না হয় তবে চিকিৎসা ব্যবস্থার ক্ষেত্রে যথেষ্ট সমস্যা দেখা দিতে পারে বলেই হাসপাতালে তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে।

হাসপাতাল থেকে দাবি করা হয়েছে, সরকারের পক্ষ থেকে ৩০০ টি বেডের কথা বলা হয়েছিল কিন্তু তারা আরও ২০০ টি বেডের ব্যবস্থা করেছিল। অবশেষে সমস্ত রোগীদের চিকিৎসার পর বিলের টাকা এসে দাড়িয়েছিল ১৩০ কোটি টাকা। ১৩০ কোটি টাকার মধ্যে ৬০ কোটি টাকা অনেক বলে কয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রাজ্য সরকারের তরফ থেকে আদায় করেছিল।

হাসপাতাল সূত্রে খবর পাওয়া যায়, করোনার সময় স্বাস্থ্য দপ্তরের দল ওই হাসপাতালে নজরদারি করত চিকিৎসার জন্য যে বিল তৈরি করা হয়েছে সেটি সঠিক কিনা সেটা যাচাই করা হতো, কিন্তু পরবর্তীকালে সেই টাকাগুলো শোধ করার ক্ষেত্রে অনেক সমস্যা তৈরি করছে রাজ্য সরকার। হাসপাতালের পক্ষ থেকে আরও অভিযোগ করে বলা হয়েছে যে, নবান্নের কর্তারা হাসপাতালের বিলের টাকা দেওয়ার জন্য কমিটি নিয়োগ করেছিলেন কিন্তু সেই টাকা এখনো পর্যন্ত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়নি।

এইজন্যেই বাকি ৫৯ কোটি টাকা ফেরত নেওয়ার জন্য দ্বারস্থ হয়েছেন হাইকোর্টে। পরবর্তীকালে রাজ্য আদালতে গিয়ে দাবি করে যে, তারা বেশি টাকা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে দিয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত এই মামলা আদালতে চলে যাচ্ছে, কোনো সুরাহা এখনো পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। প্রথমদিকে এই মামলাটির সুরাহা করছিলেন বিচারপতি দেবাংশু বসাক। রাজ্যের কাছে এই বিষয়ে রিপোর্টও চেয়ে ছিলেন তিনি। যদিও সেই রিপোর্ট এখনো পর্যন্ত আদালতে জমা দেওয়া হয়নি সরকারের তরফ থেকে।