সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

বে’ড়ে’ই চলেছে মুরগির মাংস ও ডিমের দা’ম! কিন্তু কেনো? উত্তর দি’লে’ন ব্যবসায়ীরা

বাজারে গেলেই তো সমস্ত জিনিসের দাম যেন অগ্নি মূল্য । শাকসবজি থেকে মাছ, মাংস, ডিম সমস্ত কিছুর দাম যেন তরতর করে দিনের পর দিন বাড়ছে, মধ্যবিত্তদের কাছে যেন বেঁচে থাকাটাই একটা বড় লড়াই হয়ে দাঁড়িয়েছে। বহুদিন আগে খাসির মাংসর দাম একেবারে আকাশছোঁয়া। বাঙ্গালীদের প্রিয় মাছ, ইলিশ বর্ষা শুরুর সময়ে পাওয়া গিয়ে থাকে কিন্তু এই ইলিশের যা দাম তা মধ্যবিত্তর নাগালের বাইরে। ডিম এবং মুরগির মাংস দিয়ে তাদের দিন চলছে, কিন্তু এরই মধ্যে আবার ডিম এবং পোল্ট্রির মাংসের দাম বেড়ে গেল, একেবারে যাচ্ছেতাই অবস্থা।

বাজারে একদিকে যেমন শাকসবজির দাম হচ্ছে চড়া, তেমনি অন্যদিকে পেট্রোল-ডিজেলের দাম হচ্ছে চড়া সুতরাং মানুষের জীবন যে কোন দিকে যাবে তাই এখন ভাবা দায়। মাংসের দাম রেকর্ডে পৌঁছেছে, পোল্ট্রি মুরগির মাংসের দাম এখন গড়িয়া হাটে বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকায় প্রতি কেজি এবং কলকাতা হাতিবাগান বাজারে বিক্রি হচ্ছে মুরগির মাংস ২৪০ টাকা কেজি। পেট্রোল- ডিজেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার কারণ নেই এই সমস্ত জিনিসের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু কেনই বা এই মাংসের এবং ডিমের দাম এত বাড়ছে?

আসলে এই ব্যাপারে নিয়ে ওয়েস্ট বেঙ্গল পোল্ট্রি ফেডারেশন এর সাধারণ সম্পাদক মদনমোহন মাইতি জানিয়েছেন যে, “মুরগির যে প্রধান খাদ্য সয়াবিন, ভুট্টা সেগুলোর দাম প্রচুর বেড়ে গেছে, এবং আগে যেখানে সয়াবিনের দাম ৩০ থেকে ৩৫ টাকা ছিল এক কেজি, এখন তার প্রায় ৭০ টাকার ওপরে ছাড়িয়ে গেছে, ফলে উৎপাদন করার খরচ বেড়ে গেছে প্রায় ৬০ থেকে ৬৫ শতাংশ এবং তার সাথে তো রয়েছে পরিবহন খরচ সুতরাং সবকিছু মিলেই এখন মাংস এবং ডিমের দাম বেশ চড়া রয়েছে।এর জন্য বেশ উৎপাদন কমে গিয়েছে এবং সেই জন্যেই ভুট্টা এবং সয়াবিনের দাম বাড়ছে। এখন নভেম্বরের দিকে আবার ভুট্টা এবং সয়াবিনের চাষ শুরু হবে এবং ততদিন পর্যন্ত বসে থাকতে হবে। তবে সরকারের উচিত যত সম্ভব এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া”।

তিনি আরো বলেন যে, “সয়াবিন এবং ভুট্টা রপ্তানি এখন দেশ থেকে বন্ধ করে দিতে হবে এবং বিদেশ থেকে আমদানি করতে হবে”। লকডাউন এবং পেট্রোল-ডিজেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে বিপুল পরিমাণে যে মাছ আসে, তার জন্য মাছের দাম বেড়ে যাচ্ছে সুতরাং এই ভাবে যদি প্রত্যেকদিন খাদ্য দ্রব্যের দাম বাড়তে থাকে তাহলে সমাজের সকল শ্রেণীর মানুষের দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হবে সেটা জানতে আর বাকি নেই।