“করবা চৌথ” ব্রতটি বিশেষ করে পালিত হয় উত্তর এবং উত্তর পশ্চিম ভারতে, বর্তমানে অনেক হিন্দি সিনেমা আমরা দেখে থাকি বা সিরিয়াল দেখে থাকি যেগুলোর মধ্যে এই ব্রতটি পালন করে স্ত্রীরা। এই কারণেই বর্তমানে গোটা ভারতবর্ষের আনাচে-কানাচে এই ব্রত অনেকেই পালন করে থাকে। ভারতীয় হিন্দু সদবারা স্বামীর দীর্ঘায়ু কামনা জন্য এই ব্রতটি করেন।
উত্তর এবং উত্তর পশ্চিম ভারতে এই ব্রতটি বিশেষ করে পালন করে হিন্দু সধবারা কিন্তু এখন গোটা ভারতের আনাচে-কানাচে এই ব্রতটি বিশেষ জায়গা পেয়েছে। এই ব্রতটি কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশীতে সদবা হিন্দু স্ত্রীরা তাদের স্বামীদের দীর্ঘায়ু কামনা করে থাকেন। করবা কথার অর্থ হচ্ছে “মাটির পাত্র” এবং অন্যদিকে চৌথ কথাটির অর্থ হচ্ছে “চতুর্থী” এই দুটি শব্দই নিয়ে তৈরি হয়েছে “করবা চৌথ”।
এই দিনে হিন্দু সদবা মহিলারা তাদের স্বামীর জন্য দীর্ঘায়ু কামনা করার জন্য এই ব্রতটি করেন। এই ব্রতটি নির্জলা উপোস করে হিন্দু মহিলারা করে থাকেন। সারাদিন ধরে উপোস করে সন্ধ্যেবেলাতে চালুনির মাধ্যমে চাঁদ এবং স্বামীর মুখ দর্শন করার পরেই এই উপবাসটি ভাঙ্গে। সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে এবং চাঁদ না দেখা পর্যন্ত মহিলারা উপবাসটি রাখেন। যতক্ষণ পর্যন্ত চাঁদের মুখ না দেখা যায় ততক্ষণ পর্যন্ত এই উপোস ভাঙা যায় না। তবে এ বিষয়টি শুনতে খুব ভালো লাগলেও এই প্রথা করা কিন্তু বেশ কঠিন।
চলতি বছরেই “করবা চৌথ” পড়েছে রবিবার ২৪ শে অক্টোবর। এই দিনে তিথি থাকবে ২৪শে অক্টোবর ভোর ৩.০১ থেকে ২৫ তারিখে সকাল ৫.৩০অব্দি। এই ব্রত করার শুভ সময় হল ২৪ শে অক্টোবর সন্ধ্যায় ঠিক ৬.৫৫ হতে ৮.৫১ অব্দি। যদিও এদিন ৮.১১র পরে মেঘ না থাকে তবে চাঁদকে দেখা যাবে। এই ব্রত পালন করার বেশ কিছু নিয়ম আছে, আসুন সেগুলো সম্পর্কে একটু বিস্তারিত জেনে নি।
এই ব্রত বিশেষ করে স্ত্রীরা চন্দ্র দেবতার কাছে তাদের স্বামীর মঙ্গল কামনায় করে থাকেন। চালুনি দিয়ে চাঁদের মুখ দেখার পরেই স্বামীর মুখ দেখে এই ব্রত ভাঙ্গা হয়। স্বামী বরন থালার উপর থাকা একটি মাটির পাত্র থেকে তার স্ত্রীকে জল খাওয়াবেন এর পরেই সেই স্ত্রী তার উপবাস ভঙ্গ করবেন। ব্রতটিতে সদবা স্ত্রীরা তার শ্বাশুড়ীর থেকে মিষ্টি, পোষাক নানান রকম জিনিস উপহার হিসেবে পায় ব্রতটি পালন করার জন্য।