সোমবার উইং কমান্ডার (বর্তমানে গ্রুপ ক্যাপ্টেন) অভিনন্দন বর্তমানকে বীর চক্র পুরস্কারে ভূষিত করা হল। রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোভিন্দ স্বয়ং অভিনন্দন বর্তমানের হাতে এই পুরস্কার তুলে দেন। ২০১৯ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি, ভারতে অনুপ্রবেশ করেছিল পাক F-16 Fighter Jet গুলি। সেগুলিকে ধ্বংস করেছিলেন সেই সময় উইং কমান্ডার পদে থাকা অভিনন্দন বর্তমান। এদিন, এই সম্মান জ্ঞাপন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, লোকসভার স্পিকার ওম প্রকাশ বিড়লা ইত্যাদি বিশিষ্ট মানুষজন।
২০১৯ সালে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বালাকোটে জঙ্গিঘাঁটিতে বিমান হামলা চালায় ভারত। তারপর ২৭ ফেব্রুয়ারি, পাকিস্তানি বিমান বাহিনীর ৪টি F-16 যুদ্ধবিমান হানা দিয়েছিল ভারতের আকাশ সীমায়। Indian Air Force-এর ৫১ স্কোয়াড্রন MIG-21 বিমান নিয়ে তাদের তাড়া করেছিল। উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমান ছিলেন শ্রীনগর ভিত্তিক বায়ুসেনার এই স্কোয়াড্রনেরই সদস্য।
Delhi: Wing Commander (now Group Captain) Abhinandan Varthaman being accorded the Vir Chakra by President Ram Nath Kovind, for shooting down a Pakistani F-16 fighter aircraft during aerial combat on February 27, 2019. pic.twitter.com/vvbpAYuaJX
— ANI (@ANI) November 22, 2021
আকাশপথের সেই বিমান-যুদ্ধে একটি পাকিস্তানি F-16 যুদ্ধবিমানকে গুলি করে ভূপাতিত করেছিলেন অভিনন্দন। আর যুদ্ধ করতে করতে তিনি ঢুকে পড়েছিলেন পাক অধিকৃত কাশ্মীরে। শত্রু বাহিনীর তাঁর বিমানটিও গুলি করে ভূপাতিত করেছিল। এরপর পাকিস্তান সেনাবাহিনীর হাতে বন্দী হয়েছিলেন বায়ুসেনার এই ভারতবীর উইং কমান্ডার। পরে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে ক্রমাগত কুটনৈতিক চাপ সৃষ্টি করা হয় এবং তাঁকে পাকিস্তানের কবল মুক্ত করা হয়।
অভিনন্দন ছিলেন MIG-21 এর একমাত্র পাইলট, যিনি আমেরিকায় তৈরি পাকিস্তানের F-16 যুদ্ধবিমানকে গুলি করে মাটিতে নামিয়ে আনতে পেরেছিলেন। ভারতীয় বায়ুসেনা তাঁর এই কীর্তির স্বীকৃতিতে আগেই অভিনন্দনকে গ্রুপ ক্যাপ্টেন পদে উন্নীত করেছে। তাঁর ইউনিট, ৫১ স্কোয়াড্রনও, পাকিস্তানি বিমান বাহিনীর বিমান হামলাকে ব্যর্থ করার জন্য একটি বিশেষ স্বীকৃতি পেয়েছে। এবার তাকেই বীরচক্র দিয়ে সম্মান জানানো হল।
২০১৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের, খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের বালাকোটে, জৈশ-ই-মহম্মদ জঙ্গি গোষ্ঠীর একটি শিবিরের উপর বিমান হামলা চালিয়েছিল ভারত। ভারতীয় সেনার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে যে সেখানে জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দেওযা হত। তার আগে ওই বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি, জইশ জঙ্গিরা জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামাতে, CRPF-এর একটি কনভয়ে অতর্কিত হামলা চালিয়েছিল। যার জেরে শহিদ হয়েছিলেন ৪০ জন জওয়ান। তারই বদলা নিতে এই হামলা চালানো হয়েছিল।