সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

রাজ্যপাল পদটাই উ’ঠি’য়ে দেওয়া হো’ক, প্র’চু’র খরচ! দা’বি করলেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়

আজব রাজ্যে আজব কান্ড কারখানা মন্ত্রীদের। ভারতের সংবিধানে এমন হয়তো কথা কেউই বলেন নিয়ে যা বলে ফেললেন বর্ষীয়ান রাজনীতিক শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়। তার মতে, রাজ্যপাল রাখার কোনো প্রয়োজনই নেই এতে নাকি রাজ্যের উন্নয়নে অনেক সমস্যা হয়।

সদ্য পরিষদীয় মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে শোভন দেব চ্যাটার্জীকে মন্ত্রী পদে বসার সাথে সাথেই তার এমন দাবি। সত্যিই অবাস্তব কিছুটা হলেও অবাক করার মত। নবান্নতে দাঁড়িয়েই তিনি এই ধরনের একটি ভারতীয় সংবিধান নিয়ে কথা বললেন।

নবান্নে দাঁড়িয়েই শোভন দেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, “রাজ্যপাল রাখার কোনো প্রয়োজন নেই অর্থাৎ হাইকোর্টের বিচারপতিকে রাখা উচিত রাজ্যপালের দায়িত্ব দিয়ে ভাবেই কাজ হবে। বর্তমানে অনেক দল রয়েছে যারা এক এক জায়গায় ক্ষমতায় রয়েছে যার ফলে গোটা রাজ্য জুড়ে উন্নয়ন করা খুব সমস্যার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আরো পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সম্পত্তির খতিয়ান প্র’কা’শ্যে, জানুন কত টা’কা’র মালিক তিনি

রাজ্যপালের জন্য এত এত খরচ এই খরচ করার ও কোনো মানে নেই।” এই ধরনের একটি মতামত তিনি আগেও বিধানসভাতে জানিয়ে ছিলেন বলেই তিনি জানালেন। সরকারের সঙ্গে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর এর লড়াই বহুদিন ধরেই চলছে বিভিন্ন বিষয়ে।

রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্য সরকারের বিবাদ লেগেই রয়েছে। রাজ্য সরকারকে নানারকম খোঁচা দিয়ে টুইট করতেন রাজ্যপাল। সমস্ত কিছু মিলিয়েই বোঝা যায় রাজ্য সরকারের ক্ষোভ রয়েছে রাজ্যপালের ওপর।

ইতিমধ্যেই রাজ্য বিধানসভায় রাজ্যপালকে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকে আচার্য পদ থেকে সরানোর জন্য অনেক বিল পাস করানো হয়েছে, যদিও শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়ের এই ধরনের মন্তব্য পাল্টা জবাব দিয়েছে বিজেপি।

আরো পড়ুন: আপনার সোনা কতখানি শু’দ্ধ? এবার অ্যাপের মা’ধ্য’মে নিজেই জেনে নিন

এই বিষয়ে সোমবার বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য একটি সাংবাদিক বৈঠক এর সাক্ষাৎকার দেন এবং যেখানে তিনি জানান,” বামপন্থীরা রাজ্যপালের পথ তুলে দেওয়ার দাবি করে, কিন্তু পরিষদীয় মন্ত্রী কেন কথা বলছেন?

আসলে তৃণমূল চায় যে রাজ্য ভবনটি যেন তাদের দখলে আসে।” বর্তমানে জগদীপ ধনকর দেশের উপরাষ্ট্রপতি পদে রয়েছেন অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালের অতিরিক্ত দায়িত্বে রয়েছেন মণিপুরের রাজ্যপাল লা গনেশন।