সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

স্ত্রীর দ্বিতীয় বি’য়ে’র খবর স্বামী পেলেন ইনস্টাগ্রাম থেকে! ফো’ন করতেই জানালেন বর সরকারি চাকরি করে

আজকাল লোক ঠকিয়ে বিয়ে যেনো একটা ট্রেন্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে মেয়েরা এমন করছে দেখা যায়। এরা কিছুদিন সংসার করেই বয়ফ্রেন্ডের সাথে পালিয়ে যায়। কেউ কেউতো ছোটো বাচ্চা ফেলেও চলে যায় প্রেমিকের সাথে। আর ঠিক তেমনি এক ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। উত্তরপ্রদেশের লখনউতে এক স্ত্রী বিয়ের কয়েকদিন পরেই নগদ টাকা সহ গয়না নিয়ে পালিয়ে যায় বলে জানা যাচ্ছে। এই ঘটনায় ওই মহিলার স্বামী গোসাইগঞ্জ থানায় এসে মামলা দায়ের করেন তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে।

তিনি জানান, ওই যুবতী তাকে বহুদিন ধরে প্রেমের নাটক করেন। শেষ অব্দি বিয়েও করেন। কিন্তু কয়েকদিনের মধ্যেই টাকা – পয়সা , গয়না- গাটি নিয়ে তাঁর বাবার বাড়ি চলে যান। আর আসেন নি। এবং সে ইনস্টাগ্রাম থেকে জানতে পারেন কদিন আগে যে তাঁর স্ত্রী নাকি দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন। তাই সেই যুবক গোসাইগঞ্জ থানার অন্তর্গত কাশিমপুরের বাসিন্দা অমিত যাদব ওই যুবতী ও তাঁর দ্বিতীয় স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় প্রতারণার মামলা দায়ের করেছেন। কিন্তু এখানেই শেষ নয়। অমিত যাদবের সাথে তার স্ত্রীর বিয়েটাও স্বাভাবিক ছিল না রীতিমত জোরকরেই ওই যুবতী বিয়ে করেন অমিতকে।

এই প্রসঙ্গে এসএইচও বিনয় কুমার সিং জানিয়েছেন, অমিত যাদব রাজস্থানের কোটায় ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তেন। সেখানেই তাঁর পরিচয় হয় নিশা নামের এক যুবতীর সঙ্গে। এই নিশা নামের মেয়েটি হরিয়ানার বাসিন্দা ছিলেন। প্রথমে দু’জনের মধ্যে বন্ধুত্ব হয় এবং সেখান থেকেই তাঁদের সম্পর্কে ঘনিষ্ঠতা আসে। কিছুদিন পরেই ওই নিশা নামে মেয়েটি বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকে অমিতকে। অমিত বিয়ে করতে অস্বীকার করলে কোটা থানায় এসে অভিযোগ দায়ের করেন ওই নিশা। আর তাই শেষ অবধি আর্য সমাজ মন্দিরে বিয়ে করেন তাঁরা। পাশাপাশি, লখনউতে বিয়ের রেজিস্ট্রি করা হয়।

আরো পড়ুন: LIC-র এই পলিসি আজই করুন! 29 টা’কা বিনিয়োগে মিলবে 4 লক্ষ রি’টা’র্ন

এত দূর অব্দি সব কিছু ঠিক থাকলেও কয়েকদিন পর আসল সমস্যাটা দেখা যায়। কয়েকদিন পরই নববধূ নিশা বাপের বাড়ী যাচ্ছি বলে শশুর বাড়ি থেকে পাওয়া সব গয়না ও ৪০০০০ টাকা সব নিয়ে চলে যান। আর আসেনি ফিরে সে। তাকে ফিরে আসতে বললে সে আসবে না জানিয়ে দেয়। আর তার কিছুদিন পরেই জানা যায় সে দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন গৌতম আহির নামে একটি ছেলের সাথে।

এমতবস্থায়, অমিত যাদব তার স্ত্রীকে ফোন করে জানতে চাইলে সে জানান, তাঁর দ্বিতীয় স্বামী একটি সরকারি চাকরি করেন। পাশাপাশি, তিনি যথেষ্ট স্মার্ট। তাই, নিশা এখন তাঁর সাথেই থাকবেন। পাশাপাশি, ডিভোর্স চাইলে তাঁকে ৫ লক্ষ টাকা দিতে হবে বলেও জানান নিশা।

পুরো ঘটনাটা শুনে অমিত তো অবাক। সে তখনই গোসাইগঞ্জ থানায় তার স্ত্রী ও তার দ্বিতীয় স্বামীর বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন। আর তাই পুলিশ আইপিসির 494, 504 এবং 506 ধারায় মামলা দায়ের করেছে বলে জানা গিয়েছে ওই নিশা নামক মেয়েটি ও তার বর্তমান স্বামীর বিরুদ্ধে।