সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

ব্যাংক অফিসারকে ছেলের ম’তো বি’শ্বা’স করেছিলেন বৃদ্ধ, খো’য়া গে’লো ৩৭ লক্ষ টা’কা

এতো দেখি সর্ষের মধ্যেই ভূত! ব্যাঙ্কের অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার এক বৃদ্ধের বিশ্বাসের সুযোগ নিল! ৩৭ লক্ষ টাকা খোয়া গেল বৃদ্ধের। পুলিশ সূত্রে খবর, ২০২১ সালে দমদমের বাসিন্দা ৭৯ বছরের প্রদীপ কুমার চট্টোপাধ্যায় বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানায় এসে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

তিনি বলেন যে তাঁর সঙ্গে একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার শুভঙ্কর পাণ্ডের পরিচয় হয়। শুভঙ্কর পাণ্ডে ছিলেন নিঃসন্তান, তাই ওই বৃদ্ধ শুভঙ্করের ভালো ব্যবহারে মুগ্ধ হয়ে তাকে নিজেদের ছেলের মতন ভালোবেসে ফেলেন। বৃদ্ধ ওই ব্যাঙ্কে নিজের জমানো কিছু টাকা স্ত্রীয়ের নামে রাখতে চান।

সেই সময় অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার শুভঙ্কর ওই বৃদ্ধকে ওই টাকা স্ত্রী জোৎস্না চট্ট্যোপাধ্যায়ের নামেফিক্সড ডিপোজিট করে দিতে প্রস্তাব দেয়। সেই অনুযায়ী বৃদ্ধ নিজের ব্যাঙ্কের সমস্ত তথ্য এবং ৩৭ লক্ষ টাকা শুভঙ্করের হতে তুলে দিয়ে ফিক্সড ডিপোজিট করে দিতে বলেন।

আরো পড়ুন: প্রতি জেলায় গড়ে তোলা হবে মেডিক্যাল কলেজ, দেশে রে’ক’র্ড সংখ্যক ডাক্তার তৈরির বা’র্তা প্রধানমন্ত্রীর

বেশ কয়েক মাস পর ওই বৃদ্ধ ব্যাঙ্কে গিয়ে তাঁর টাকার পরিমাণ কতটা বেড়েছে, জানতে চাইলে তাঁকে জানানো হয় যে তাঁর স্ত্রীয়ের নামে ব্যাঙ্কে কোনো ফিক্সড ডিপোজিটই নেই। এর পরই বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ লেখান ওই ব্যক্তি।

বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ গ্রেফতার করে ওই ব্যাঙ্কের অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার শুভঙ্কর পান্ডেকে। তাঁর কথায়, বৃদ্ধের থেকে নেওয়া টাকা তিনি অন্য একটি অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করেছেন।

এর পরই বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ অ্যাকাউন্ট হোল্ডার উত্তর দমদমের বাসিন্দা সিক্তা বিশ্বাসকে তলব করে। বারংবার হাজিরা এড়িয়ে যাওয়ায় অবশেষে গতকাল রাতে তার বাড়িতে হানা দেয় পুলিশবাহিনী।

সেখান থেকেই অভিযুক্ত সিক্তা বিশ্বাস গ্রেফতার হয়। তার কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, আজ অভিযুক্তকে বিধাননগর আদালতে তোলা হবে। পুলিশ তাকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে। আর এই চক্রের সঙ্গে অন্য কারো যোগসূত্র আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।