ভারত উন্নত প্রযুক্তি ও উদ্ভবনার ক্ষেত্রে কোনও অংশেই পিছয়ে নেই। গত ৬ মাসে গোটা ভারত জুড়ে মোট ১০ হাজার স্টার্টআপ সংস্থা তৈরি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানুয়ারি মাসে কানপুর ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজির ৫৪ তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে এমনটাই ঘোষণা করেছিলেন।
বর্তমানে বিশ্বের দ্বিতীয় বড় স্টার্টআপ কেন্দ্র এবং ইউনিকর্ন তৈরিতে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। মোট স্টার্টআপ সংস্থার সংখ্যা ৫০ হাজারেরও বেশি। এর মধ্যে ১০ হাজার নতুন স্টার্চআপ সংস্থার জন্ম হয়েছে গত ৬ মাসে। ১ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রের ইউনিয়নের বাজেটে স্টার্টআপ সংস্থাগুলোর জন্য বিশেষ ঘোষণাও করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। এক বছরের জন্য তাঁদের ইনসেনটিভ বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেছে। দেশের অর্থনীতির উন্নতির ধারক হিসাবে স্টার্টগুলোর আর্বিভাব হয়েছে।
করোনা পরিস্থিতির দিকটি বিবেচনা করে স্টার্টআপগুলোর কর প্রদানের সময়সীমা ৩ বছর থেকে বাড়িয়ে ৪ বছর করা হয়েছে। বিশ্বব্যাপী এবং দেশীয় তহবিল মারফত ২০২১ সালে উদীয়মান অর্থনৈতিক সংস্থাগুলো ৪২ ডলারের রেকর্ড গড়েছে। নতুন বছরে ইউনিকর্ণের সংখ্যা, বিলিয়ান ডলার মূল্যায়ণের সংস্থাগুলো ৪২ টি নতুন স্টার্টআপের সংযোগের মাধ্যমে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।
শুধু চলতি বছরে স্টার্টআপের সংখ্যা পৌঁছেছে ৮৩ -তে। সোমবার অর্থনৈতিক সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতে এখন ৬১ হাজার ৪০০ টি-রও বেশী স্টার্ট আপ রয়েছে। এই স্টার্টআপগুলো ডিপার্টমেন্ট ফর প্রমোশন অফ ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড ইন্টারনাল ট্রেড দ্বারা অনুমোদিত। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে আনুমানিক ১৪ হাজার সংস্থা স্টার্টআপের স্বীকৃতি পেয়েছে। সমীক্ষায় বলা হয়েছে যে ভারতের ৫৫৫টি জেলায় অন্তত একটি নতুন স্টার্টআপ গড়ে উঠছে।