ড্রাগ মাফিয়ারা তাদের ব্যবসা বৃদ্ধি করার জন্য নিত্য নতুন ফন্দি ফিকির বের করে। এই মাফিয়া চক্রের খপ্পরে একবার পড়লে সেখান থেকে বেরিয়ে আসা দুঃসাধ্য। সমাজের চরম ক্ষতি করে দিচ্ছে এই মাফিয়ারা। তবে এবার মাফিয়াদের সম্পর্কে যে তথ্য ধরা পড়লো তাতে কার্যত চক্ষুচড়কগাছ প্রশাসনের। নিজেদের তৈরি নতুন ড্রাগ বাজারে আনার আগে সেই ড্রাগের পরীক্ষার জন্য ভিখারি শ্রেণীর মানুষদের গিনিপিগ হিসেবে ব্যবহার করছে মাফিয়ারা! গৃহহীন মানুষ এবং ভিখারিরা হয়ে উঠছেন তাদের শিকার।
বিশিষ্ট সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়াটাইমসের রিপোর্টে ধরা পড়েছে এই ভয়াবহ তথ্য। ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে গৃহহীন এবং ভিখারি শ্রেণীর মানুষদের উপরে সিনথেটিক ড্রাগের ট্রায়াল’ চালানো হচ্ছে। ট্রায়াল’ সফল হলে তবেই সেগুলি ব্ল্যাক মার্কেটিং এর কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। এর থেকে মোটা অংকের মুনাফা কামাচ্ছে মাফিয়ারা।
আহমেদাবাদের রেলওয়ে স্টেশন ও বাস গুমটিতে থাকা ভিক্ষুক ও ফুটপাতে বসবাসকারীদের এই ট্রায়ালের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত এইভাবে ড্রাগের ট্রায়াল’ চলাকালীন সাধারণ মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। ক্রাইম ব্রাঞ্চের আধিকারিকরা জানিয়েছেন মাফিয়াদের এই চক্র সম্পর্কে তাদের কাছে তথ্য এসে পৌঁছেছে। তবে এ পর্যন্ত কোনো অভিযোগ দায়ের করা হয়নি তাদের কাছে।
কালুপুর রেলওয়ে স্টেশনের বাইরে ফুটপাতে বসবাসকারী সলিম মহম্মদ ড্রাগ মাফিয়াদের চক্করে পড়েছিলেন। তার গাঁজার নেশা আছে। মাফিয়াদের থেকে ড্রাগ নিয়ে রক্ত বমি হচ্ছিল তার। এরকম আরো বেশ কয়েকজনের শরীরে এমন উপসর্গ পাওয়া গিয়েছে। ফুটপাতের বাসিন্দা মহেশ দতানিকে এক ধরনের পাউডার শোঁকার জন্য দেয় মাফিয়ারা। সেই পাউডার ব্যবহার করেই তিনি ভীষণ হিংসাত্মক হয়ে পড়েন। যার ফলে তিনি এত জোরে দেওয়ালে নিজের হাত ঠুঁকে বসেন যে তারা হাত ভেঙে যায়!