সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

টুইন টাওয়ারের জমিতে এবার হ’বে মন্দির! পুনরায় বিল্ডিং হলেই যাওয়া হ’বে সুপ্রিম কোর্টে

সম্প্রতি আমরা দেখেছি নয়ডার টুইন টাওয়ারের বিশাল বিস্ফোরণ। এই টাওয়ার দুটিকে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ভেঙে ফেলা হয়েছে। কারণ দুটো টাওয়ারের মধ্যে যতোটা গ্যাপ থাকা প্রয়োজন সেখানে ছিল না। কিন্তু বর্তমানে ওখানে নতুন কিছু বানানোর পরিকল্পণা চলছে বলে জানা যাচ্ছে। তবে এই নির্মাণ নিয়েও নানা বিরোধ দেখা দিচ্ছে। এখনই সিদ্ধান্ত না নেওয়া হলেও নানা রকম প্রস্তাব আসছে কি করা হবে ওই জায়গায় সেই নিয়ে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই জায়গায় ওখানকার অথরিটি একটি নতুন আবাসিক প্রকল্প তৈরি করতে চান।

একই সময়ে, নির্মাতার বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়া বাসিন্দারা বলছেন যে সুপারটেক সেখানে আরেকটি আবাসিক প্রকল্পে কাজ করলে তারা আবার আদালতের দ্বারস্থ হবেন। অর্থাৎ ওখানে কোনো আবাসন তৈরি করতে দিতে চান না তারা। এমনকি এমেরাল্ড কোর্ট রেসিডেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি উদয় ভান সিং তেওটিয়া পিটিআই-কে বলেছেন, “অবশ্যই, আমরা নির্মাতার এই ধরনের যেকোনো প্রচেষ্টার বিরোধিতা করতে যাচ্ছি। প্রয়োজনে আমরা আদালতের কাছেও যাব।”

তবে জানা যাচ্ছে অনেকেই ওই জায়গায় মন্দির বানানোর পরামর্শ দিচ্ছেন। অনেকেই চান ওখানে মন্দির হোক। তবে তেওটিয়া বলেন, “টুইন টাওয়ারগুলো বেআইনিভাবে সোসাইটি চত্বরের ভেতরে চলে এসেছিল। ওই জায়গাটিকে সবুজায়নের জন্য নির্দিষ্ট করা হয়েছিল। কোনো সন্দেহ নেই যে আমরা এখন সেখানে একটি পার্ক তৈরি করতে যাচ্ছি। অনেকে মন্দির করার পরামর্শও দিয়েছেন। তবে শিগগিরই আমরা সমাজের সব স্তরের লোকজনের সাথে সভা করতে যাচ্ছি।তার ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”

আরো পড়ুন: বিনা খ’র’চে দেখুন ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ, বি’রা’ট সু’যো’গ দি’চ্ছে Jio-Airtel-Vi

এদিকে সুপারটেকের চেয়ারম্যান আর কে অরোরা বলেছেন যে, তাদের সাইটে একটি আবাসন প্রকল্প তৈরি করার পরিকল্পনা রয়েছে। তাই প্রয়োজনে ওখানের স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে আলোচনা করে তবেই করবেন বলেছেন। কারণ তাদের 2 একর জমি রয়েছে যা সবুজ আচ্ছাদনের আওতায় আসে না।

অনুমতি না দিলে কোম্পানি কর্তৃপক্ষের কাছে জমির মূল্য ফেরত চাইবে।অরোরা আরো বলেছেন, “বর্তমানে জমির মূল্য প্রায় 80 কোটি টাকা হওয়া উচিত। আমরা এই প্রকল্পে অতিরিক্ত FAR (ফ্লোর এরিয়া অনুপাত) কেনার জন্য প্রায় 25 কোটি টাকাও দিয়েছি।” তাই তাদের কিছু নিজস্ব পরিকল্পনা রয়েছে। যা তারা এখনও সম্পূর্ণ সিদ্ধান্ত না নিলেও কিছুদিনের মধ্যেই নেবেন। এবং বাস্তবায়িত করার চেষ্টা করবেন।