সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

ট্রেন স’ফ’রে হ’ঠাৎ’ই শু’রু প্র’স’ব য’ন্ত্র’ণা! রেল কর্তৃ’পক্ষে’র সহা’য়তা’য় ট্রে’নে’ই জ’ন্ম নি’লো নব’জা’ত’ক

ট্রেন সফরে হঠাৎই শুরু প্রসব যন্ত্রণা! রেল কর্তৃপক্ষের সহায়তায় ট্রেনেই জন্ম নিলো নবজাতক

অবধ-অসম এক্সপ্রেসের ভিতরে বুধবার গভীর রাতে রিনা কুমারী নামে এক যাত্রীর হঠাৎই প্রসব যন্ত্রণা ওঠে। রিনা তাঁর এক আত্মীয়ের সঙ্গে তিনসুকিয়া থেকে মুজফ্‌ফরপুরে যাচ্ছিলেন। ট্রেনে থাকা টিটিই-র মাধ্যমে নিউ বঙ্গাইগাঁও স্টেশনে খবর যায়। তার পরেই রেলের তরফে চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের একটি দল পৌঁছয় ওই ট্রেনে। তাঁদের সহায়তায় অস্ত্রোপচারহীন প্রসব করেন রিনা। তাঁর প্রসবের জন্য ট্রেনটি ঘণ্টাখানেক নিউ বঙ্গাইগাঁও স্টেশনে দাঁড়িয়েছিল। মা ও সন্তান দু’জনেই শারীরিক ভাবে সুস্থ ছিলেন। তাই রিনারা ওই ট্রেনেই মুজফ্‌ফরপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন।

উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের জনসংযোগ আধিকারিক নীলাঞ্জন দেব জানিয়েছেন, “বুধবার রাত ১২টা ১০ নাগাদ আমাদের কাছে খবর আসে। অবধ-অসম এক্সপ্রেসে থাকা এক টিটিই ফোন করে খবর দেন, ওই ট্রেনে এক মহিলা যাত্রীর প্রসব বেদনা উঠেছে। পরিস্থিতি দেখে তাঁর মনে হয়েছে, কিছুক্ষণের মধ্যেই ওই মহিলার সন্তান প্রসব করানো প্রয়োজন। তখনও নিউ বঙ্গাইগাঁও স্টেশনে ট্রেনটির ঢুকতে ঘণ্টাখানেক লাগার কথা। সঙ্গে সঙ্গে স্টেশন মাস্টার নিউ বঙ্গাইগাঁও ডিভিশনাল রেল হাসপাতালে খবর দেন। তড়িঘড়ি কর্তব্যরত চিকিৎসক কয়েক জন স্বাস্থ্যকর্মী, গরম জল থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় সমস্ত ওষুধপত্র নিয়ে স্টেশনে গিয়ে পৌঁছান। রাত ১টা ১০ নাগাদ নিউ বঙ্গাইগাঁও স্টেশনে ট্রেন ঢোকার পর স্বাস্থ্যকর্মীরা এস-২ কামরার ৭৯ নম্বর আসনে প্রসূতি রিনার কাছে যান। তাদের যথাসাধ্য প্রচেষ্টায় সন্তান প্রসবের পর নাড়ি কাটার ক্ষতে প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র দেন চিকিৎসক।”

নীলাঞ্জন দেব আরও জানিয়েছেন, ‘‘জন্মের পর সদ্যোজাত কাঁদছিল না। তাতে একটু চিন্তায় পড়ে যান চিকিৎসক। কিন্তু কিছুক্ষণ পর চিকিৎসকদের তৎপরতায় সে কেঁদে ওঠে। রেলের তরফে মা ও সন্তানের শ্রুশ্রূষার জন্য রিনাদেবীকে নিউ বঙ্গাইগাঁওতে থেকে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু উনি থাকতে চাননি। ওনারা সুস্থ ছিলেন বলে ওই ট্রেনেই রওনা দেন। এমন পরিষেবা দিতে পেরে আমরা গর্বিত।’’