সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

আফ’গানি’স্তা’নে’র ভ’বি’ষ্য’ত নি’র্ধা’র’ণ ক’র’তে চ’লে’ছে G-7 বৈ’ঠ’ক

আফগানিস্তানের ভবিষ্যত নির্ধারণ করতে চলেছে G-7 বৈঠক

আফগানিস্তান দখল করে নিয়েছে তালিবানরা। মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যেই আফগানিস্তানে রীতিমতো সন্ত্রাসের জন্ম দিয়েছে তারা। আফগানিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন সারা বিশ্ব। এমতাবস্থায় তালিবানদের প্রতি আন্তর্জাতিক মহলের অবস্থান কী হবে, সেই নিয়ে মঙ্গলবার G-7 বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা। এই বৈঠকের উপরেই প্রধানত নির্ভর করছে আফগানিস্তানের ভবিষ্যত। তাই সারা বিশ্বের নজর এখন এই বৈঠকের দিকে।

তালিবানরা যেভাবে জোর করে আফগানিস্তানের দখল নিয়েছে তাতে বেজায় ক্ষুব্ধ আন্তর্জাতিক মহল। আসন্ন বৈঠকে তাই তালিবানদের বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। এদিকে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আফগানিস্তানে ৩১ আগস্টের পরেও কিছু সময়ের জন্য আমেরিকান এবং ন্যাটো বাহিনীকে ফেরত আনা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন বলে অনুমান করা হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ইতালি, ফ্রান্স, জার্মানি, কানাডা এবং জাপান, এই সাতটি দেশ G-7 বৈঠকে অংশগ্রহণ করতে চলেছে। যুক্তরাষ্ট্রে ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত কারেন পিয়ার্স জানিয়েছেন যে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন কিছু সমস্যার সমাধান নিয়ে আসতে পারেন। রাষ্ট্রসংঘে মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এবং রাষ্ট্রসংঘে মহাসচিব জেন স্টলটেনবার্গও বৈঠকে যোগ দেবেন বলেই জানা গিয়েছে।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন একটি টুইট বার্তায় জানিয়েছেন, আফগান জনগণকে নিরাপত্তা দিতে, মানবিক সংকট রোধ করতে এবং গত ২০ বছরের কঠোর পরিশ্রমকে সুরক্ষিত রাখতে আন্তর্জাতিক মহলকে আফগান জনগণকে সমর্থন করতে হবে। জো বাইডেন এবং বরিস জনসন জি-7 এর ভার্চুয়াল বৈঠকের কথাও প্রস্তাব রেখেছিলেন। আফগানিস্তানের পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য একসঙ্গে সহযোগিতা এবং আলোচনায় বসতে চেয়েছেন তারা।