একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর এখন তৃণমূলের লক্ষ্য বাংলার উপনির্বাচন। আর মাত্র কয়েক মাসের মাথাতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুনরায় নির্বাচনের মেয়াদ শেষ হতে চলেছে। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব উপনির্বাচন সেরে ফেলতে চাইছে তৃণমূল। এই নিয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে তৃণমূল। বৃহস্পতিবার তৃণমূলের পাঁচজন সাংসদের একটি সদস্য দিল্লি পৌঁছেছিল।
সৌগত রায়, সুখেন্দুশেখর রায়, জহর সরকার, সাজদা আহমেদ এবং মহুয়া মৈত্ররা এদিন দিল্লিতে গিয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে প্রায় আধ ঘণ্টা কথা হয়েছে তাদের। রাজ্যের প্রতিনিধিরা আশা করছেন, শীঘ্রই উপনির্বাচন ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন। দিল্লিতে মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে দেখা করার পর সৌগত রায় জানিয়েছেন, নির্বাচন কমিশন এবার তাড়াতাড়ি উপনির্বাচন সেরে ফেলার কথা ভাবছে।
তৃণমূল আপাতত পুজোর আগেই উপনির্বাচন সেরে ফেলতে চাইছে। কারণ পুজোর পর পরই একের পর এক উৎসব শুরু হয়ে যাবে। করোনা সতর্কতাবিধি মেনে বাংলা-সহ ৫ রাজ্যের বিভিন্ন কেন্দ্রের উপনির্বাচন এবং বিধানসভা নির্বাচন কিভাবে সম্ভব? এই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে নির্বাচন কমিশন। গত ৯ই আগস্ট এই নিয়ে রাজ্যের মতামত জানতে চায় নির্বাচন কমিশন। রাজ্যের প্রতিনিধিরা নির্বাচন কমিশনকে জানিয়ে দিয়েছে যে তারা এবার দ্রুত উপনির্বাচন চাইছেন।
তৃণমূলের বক্তব্য, রাজ্যে এই মুহূর্তে করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আছে। যে সাতটি কেন্দ্রে উপ নির্বাচন হওয়ার কথা আছে, সেখানকার করোনা পরিস্থিতিও এখন আগের তুলনায় অনেকটাই স্বাভাবিক। রাজ্যের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে, ওই নির্বাচন কেন্দ্রগুলিতে এই মুহূর্তে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা শুন্যে নেমেছে।
