পণ্যসামগ্রী এবং পরিষেবার ওপর অপ্রত্যক্ষভাবে যে ট্যাক্স বা কর বসে সেটাই হলো GST (Goods and Service TAX) । এর আগে ভ্যাট, কাস্টমস ডিউটি সেন্ট্রাল এক্সসাইজ ডিউটি, সার্ভিস ট্যাক্স ইত্যাদি সহ ১৭ রকমের অপ্রত্যক্ষ ট্যাক্স ছিল। সবগুলিকে একত্র করে জিএসটি ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে ২০১৭ সালের ১ লা জুলাই থেকে।
জটিল ট্যাক্স ব্যবস্থাকে সরল করতে জিএসটি ব্যবস্থার চালু করা হয়। জিএসটি কে পাঁচটি স্ল্যাবে ভাগ করা যায়: ০%, ৫%, ১২%, ১৮% এবং ২৮%। ০ % স্ল্যাবে রয়েছে নিত্য ব্যবহার্য দ্রব্য যেমন দুধ ও দুগ্ধজাত দ্রব্য (যা প্যাকেটবন্দি করা হয় নি), মাছ, মাংস, ফলমূল, সব্জি ইত্যাদি।
৫% জিএসটির মধ্যে রয়েছে সমস্ত প্যাকেটজাত খাদ্যদ্রব্য।যেমন -চা, কফি, মশলা, কাজু, কিশমিশ, আখরোট ইত্যাদি। বিলাসদ্রব্য বা লাক্সারি আইটেম (যেমন গাড়ি), আমোদপ্রমোদ ইত্যাদি ক্ষেত্রে ১৮% জিএসটি রাখা হয়েছে।
আরো খবর: আজ বৃহস্পতিবার, দিনটি আপনার পক্ষে শু’ভ কি না দেখে নিন, রইলো রাশিফল (16.02.2023)
নেশা জাতীয় দ্রব্য, কার্বোনেটেড ড্রিঙ্কস, মার্বেল গ্রানাইট, সিমেন্ট ইত্যাদি ২৮% জিএসটির মধ্যে পড়েছে। পেট্রোল, মদ এবং বিদ্যুৎ ইত্যাদিকে জিএসটির আওতার বাইরে রাখা হয়েছে।
রাজ্যগুলি রাজি হলে পেট্রল, ডিজেল-সহ জ্বালানি তেল এবং প্রাকৃতিক গ্যাসের উপর জিএসটি চালু করতে পারে সরকার। বুধবার সংবাদমাধ্যমকে এ কথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘জিএসটি পরিষদের ছাড়পত্র পেলেই পেট্রলজাত পণ্যের ওপর জিএসটি চালু করা যেতে পারে।’’
আগামী শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) থেকে নির্মলা সীতারামন নেতৃত্বাধীন জিএসটি পরিষদের ৪৯তম বৈঠক বসছে। তার আগে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর এহেন মন্তব্য অত্যন্ত ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে মনে করছেন অনেকেই।
