একসময় তার দাপটে বীরভূমে বাঘে গরুতে এক ঘাটে জল খেত। আজ বন্দী হয়ে পড়ে আছেন জেলের চোরা কুঠুরিতে। তাকে দেখবার কোনো অনুমতি নেই তার মেয়ের। বারবার আবেদন করে মাত্র দুইবার দেখা হয়েছে বাবা মেয়ের। এবার মেয়েকে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন তিনি। জিজ্ঞাসা করলেন কেন এসেছিস!
দ্বিতীয়বার বাবা মেয়ের সাক্ষাৎ! বাবাকে দেখে নিজেকে ধরে রাখতে পারলেন না সুকন্যা! শনিবার এক অন্যরকম দৃশ্যের সাক্ষী থাকলো দেশের অন্যতম বৃহৎ জেল! দুজনে তিহার জেলে বন্দী। অথচ কারোরই কারোর সাথে দেখা হয় না কারণ পুরুষ এবং মহিলা সেল অনেকটা দূরে।
তাই নয় রয়েছে নানান রকম আইনি বিধি নিষেধ। গত সপ্তাহে একবার আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী সুকন্যা এবং অনুব্রত সাক্ষাৎ হয়েছিল। তারপর আবার শনিবার তারা মুখোমুখি হয়েছেন। মেয়েকে সামনে দেখে হাউমাউ করে কেঁদে ফেলেন অনুব্রত।
মেয়েকে তিনি বলেন দিল্লিতে যাওয়া তোমার উচিত হয়নি। সুকন্যা জানান ইডি যেভাবে বারবার ডাকছিল তাতে না আসা ছাড়া কোন উপায় ছিল না। হাজিরা না দিলে হয়তো তাকে তুলে আনা হতো বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন সুকন্যা।
তবে সুকন্যা এইদিন বাবার কাছে অভিমান করে জানিয়েছেন বারবার তোমার সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলাম কিন্তু ওরা কোন সুযোগ দেয়নি। অনুব্রত এদিন সুকন্যাকে বলেন, চিন্তা করিস না ঠিক তোর জামিন হয়ে যাবে। কাঁদতে কাঁদতে বাবাকে ঠিকমতো ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দেন সুকন্যা।
