সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

নোটবন্দি নিয়ে বি’রা’ট রায় সুপ্রিম কোর্টের, শেষ হা’সি কে হা’স’লো?

২০১৬ সালে নভেম্বর মাস হঠাৎ করে ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট বাতিল। এই নোট বাতিলের কথা ঘোষণা করেছিলেন ভারতের নরেন্দ্র মোদি সরকার। তারপর ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান থেকে সাধারণের ঘরে সর্বত্র হাহাকার পড়ে গিয়েছিল। যে বিপুল পরিমাণ ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট তার কি সদগতি হবে!

পুরনো ১০০০ এবং ৫০০ টাকার নোট বাতিল করার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বিভিন্ন মামলা হয়েছিল। এই মামলা করা হয় ভারতের সর্বোচ্চ ন্যায়ালয় সুপ্রিম কোর্টে। এবার সুপ্রিমকোর্ট দিল ঐতিহাসিক রায়। স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত ভুল ছিল না। কেন্দ্রীয় সরকারের আর্থিক কোন সিদ্ধান্তকে পাল্টে দেওয়া যাবে না। যে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছিল তার সম্পূর্ণ রূপে বিচার বিবেচনা ও বিশ্লেষণ করে।

প্রসঙ্গত মোদি সরকারের নোট বন্দির সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে ৫৮ টি পিটিশন দাখিল করা হয়েছিল। আবেদনকারীরা যুক্তি দিয়েছিলেন সরকার সঠিক পরিকল্পনা করে মোটেও এই সিদ্ধান্ত নেয়নি অবিলম্বে এই সিদ্ধান্ত বাতিল করা উচিত। এই ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয় নোট বন্দির সিদ্ধান্ত বাতিল করতে গেলে সময়ের অনেকটা পিছনে চলে যেতে হবে।

আরো খবর: একাধিক পু’রু’ষে’র সঙ্গে স’ম্প’র্ক! তিনবার বি’য়ে করেও অসু’খী, মেয়েকে বি’রা’ট শা’স্তি শ্রাবন্তীর বাবা-মায়ের

বিচারপতি এসএ নাজিরের নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির নেতৃত্বে একটি ডিভিশন বেঞ্চ এই রায় দেয়। বাদী এবং বিবাদী পক্ষে যুক্তি শুনে গত ৭ ডিসেম্বর রায়দান স্থগিত রাখা হয়েছিল। সাংবিধানিক বেঞ্চের অন্য পক্ষের সদস্যরা হলেন বিচারপতি বিআর গাভাই, বিভি নাগার থানা এস এ বোপাম্মা, ভি রামাশুভ্রমন্যম। এই মামলায় পৃথক পৃথক রায়দান করা হয়েছিল বলেও দাবি।

২০১৬ সালের ৮ই নভেম্বর পুরনো পাঁচশো এবং এক হাজার টাকার নোট বাতিল করে নতুন ৫০০ এবং ২০০০ টাকার নোট চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কেন্দ্র সরকার জানিয়েছিল কালো টাকার রমরমা প্রতিপত্তি রূখতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পুরনো নোট বাতিল করলে কালো টাকা রাখা ব্যক্তিরা বিপদে পড়বেন সেইসঙ্গে ভারতের অর্থনীতিতে স্বচ্ছতা আসবে। এই নোট বাতিলের মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছিল গোটা দেশজুড়ে। তার রেশ কাটেনি এত বছর পরেও।