সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

হটাৎ করেই প্র’চু’র সম্পত্তির মা’লি’ক হলেন প্রবীণ রিক্সাচালক, রাতারাতি কো’টি’প’তি

সত্যি মানুষ যে বলে ভগবান যখন দেয় একেবারে দু হাত উজাড় করেই দেয়।এতদিন হয়তো এই কথা শুধু মানুষের মুখেই শুনে এসেছেন, কিন্তু বাস্তবে এবার সেটাই ঘটলো ওড়িশার এক রিকশাচালকের সাথে। ওড়িশার এক বৃদ্ধা তার স্থাবর অস্থাবর সমস্ত কিছুই লিখে দিলেন সেই রিকসাচালককে। ঘটনাটি ঘটেছে ওড়িশার কটকে, এই ঘটনা শুনেই অবাক সবাই, যে কিভাবে সম্ভব। আসলে দীর্ঘ ২৫ বছর থেকে সেই বৃদ্ধা ও তাদের পরিবারের খেয়াল রেখেছেন সেই রিকশা চালক, আর শেষ বয়সে এসে সেই স্বীকৃতি হিসেবেই রিকশা চালককে সব স্মপত্তির দান করলেন সেই বৃদ্ধা। কটকের সুতাহাট এলাকার মিনতি পট্টনায়ক নামে সেই বৃদ্ধা বুধা নামে রিকশাচালককে তার তিনতলা বাড়ি, সমস্ত সোনার গয়না সব কিছুর মালিক করে দিলেন।

আসলে সেবাই পরম ধর্ম, আর সেই সেবার জোড়েই কপাল ফিরেছে সেই রিকশা চালকের। দীর্ঘ ২৫ বছর থেকে বিভিন্ন খারাপ ভালো সব সময়ে বৃদ্ধা ও তার পরিবারের সাথ দিয়েছে রিকশা চালক বুধা। জানা যায় বৃদ্ধার স্বামীর কিডনি বিকল হয়ে মারা যায় কয়েকবছর আগে, এর মধ্যেই তার একমাত্র কন্যা সেও হৃদ রোগে আক্রান্ত হয়ে তাকে ছেড়ে চলে যায়। স্বাভাবিকভাবেই সবাইকে হারিয়ে দারুণভাবে ভেঙ্গে পরেন বৃদ্ধা, আর এই খারাপ সময়েই পাশে থাকে তার এই একমাত্র রিকশা চালক। এই বিষয় নিয়ে সবাই জানতে চাইলে বৃদ্ধা জানায়, আমার স্বামী ও মেয়ে যখন আমাকে ছেড়ে চলে যায় তখন আমি দারুণ ভাবে ভেঙ্গে পরি, কোনো আত্মীয় স্বজন আমার পাশে এসে দাঁড়ায় না, যার কারণেই আমি সব অন্ধকার দেখতে লাগি।

তবে একজন অচেনা মানুষ হয়ে এই বুধা ও তার পরিবার আমার পাশে এসে দাঁড়ায় ও সেটাও একেবারে নিস্বার্থভাবে। আমার খাওয়া দাওয়া, স্বাস্থ্যের যত্ন সব নিয়েছে তারা। আমার আত্মীয় স্বজনের টাকার অভাব নেই, আর আমার বর্তমানে কেউ নেই। তাই আমি সবসময় ভাবতাম মরার আগে এই সম্পত্তি গরীব দুঃখীদের দান করে যাব। আর তারপরেই চিন্তা করি এই সম্পত্তি আমি বুধাকেই দিয়ে যাব। আর সেটা একেবারে আইনত ভাবেই, যাতে ভবিষ্যতে তাদের কেউ বিব্রত করতে না পারে। এক সময় আমার মেয়েকে কলেজে নিয়ে যেত বুধা, আমি ওকে বিশ্বাস করি, আর আমি মনে করি এই সম্পত্তি পাওয়ার অধিকার আছে তার।।