সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

স্বামীকে খুঁ’জ’তে এ’সে হটাৎ LockDown, অপরিচিত পুরুষের বাড়িতেই ৪ দিন আ’ট’কে রইলেন মহিলা

ব্লাইন্ড ডেটিং কনসেপ্ট নিশ্চয়ই জানা আছে। আগে দেখা হয়নি এমন দুই ব্যক্তির একে অপরকে চিনে নেওয়াই হল ব্লাইন্ড ডেটিং। সাধারণত এই ব্লাইন্ড ডেট সন্ধ্যা বা রাতের দিকে হয়ে থাকে। কিন্তু, এই অতিমারি পরিস্থিতিতে সব স্বাভাবিক কাজ কেমন অস্বাভাবিক হয়ে উঠেছে। আর তার জেরেই ব্লাইন্ড ডেটে গিয়ে, সেই অপরিচিত পুরুষের বাড়িতেই ৪ দিন অর্থাৎ ৯৬ ঘন্টারও বেশি সময় আটকে রইলেন এক চিনা মহিলা। মনে করি হচ্ছে ব্লাইন্ড ডেটের ইতিহাসে এমন ঘটনা প্রথম। এই চিনা মহিলার এমন অদ্ভূত ডেটের খবর আজ সারা বিশ্বে ভাইরাল।

ওই চিনা মহিলার নাম ওয়াং। কর্মসূত্রে তিনি চিনা শহর গুয়াংঝাও-তে থাকেন। কিন্তু, তাঁর বয়স বেড়ে যাচ্ছে, এখনও বিয়ে হয়নি। কোনও প্রেমিকও নেই। তাই তাঁর পরিবার তাঁকে বিবাহের ওয়েবসাইট ঘেঁটে ১০ জন পুরুষের সন্ধান দিয়েছিলেন। এই ১০ জনের সঙ্গে দেখা করবেন, ডেটে যাবেন এবং সম্ভাব্য বরকে খুঁজে নেবেন বলেই, চিনা নববর্ষের ঠিক আগে গুয়াংঝাও থেকে তাঁর নিজের শহর ঝেংঝাও’তে ফিরে এসেছিলেন ওয়াং। প্রথম চার জনের সঙ্গে ব্লাইন্ড ডেট ঠিকঠাকই গিয়েছিল। কিন্তু, পঞ্চম ব্যক্তির সঙ্গে দেখা করতে গিয়েই হল বিপদ।

ওয়াং-এর পঞ্চম ব্লাইন্ড ডেট ভাল রান্না করতে পারেন। ওয়াং-কে মুগ্ধ করতে, তিনি নিজে হাতে রান্না করে খাওয়ার জন্য তাঁকে বাড়িতেই নৈশভোজের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। ওয়াং-ও সেই কথামতো এসেছিলেন তার বাড়ি। নৈশভোজের সময় স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, করোনাভাইরাসের পুনরায় বাড়বাড়ন্তের কারণে ওই এলাকায় আচমকা লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।

আর এরফলে পরের চারদিন ওয়াং তাঁর সেই ব্লাইন্ড ডেটের বাড়িতেই আটকে পড়েন। নিজের বাড়ি আর ফিরতে পারেননি। চার দিন পর লকডাউন শিথিল হওয়াতে, বের হতে পারেন। তবে, চারটে দিন ওয়াং-এর খুব খারাপ কাটেনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় এ প্রসঙ্গে ওয়াং জানিয়েছেন, তাঁর সেই পঞ্চম ব্লাইন্ড ডেট খুব একটা কথা বলেন না। কাঠের পুতুলের মতোই নিঃশব্দ তিনি। এছাড়া, তাঁর অন্যান্য সবকিছুই বেশ ভাল। তবে, ওই ব্যক্তি নিজেকে যত ভালই রাধুনি মনে করুন না কেন, ওয়াং-এর মতে, তাঁর রান্না করা খাবারের মান ছিল মাঝারি। তবে, তিনি রান্না করতে খুবই আগ্রহী। যে চারদিন তাঁরা আটকে ছিলেন, ওই ব্যক্তিই রান্না করেছিলেন। সেটাও ওয়াং-এর খুবই মনে ধরেছে। ওই ব্যক্তিই ওয়াং-এর জীবন সঙ্গী হবে কিনা, সেটাই এখন দেখার।