সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

তরুণীর আজব পে’শা! বো’ত’লে বাতকর্ম বি’ক্রি করেই টা’কা ইনকাম, এরপর কি হলো তরুণীর?

বড়ো অদ্ভুত এই পৃথিবী! আর এই অদ্ভুত পৃথিবীর সঙ্গী সব অদ্ভুত অদ্ভুত মানুষজন। স্টেফানি মাট্টো নামে এক তরুণীর রয়েছে আজব সব পেশা। বোতলে বোতলে বাতকর্ম ভরে তিনি বিক্রি করেন! কী ভাবছেন! এই বস্তুটিও বিক্রি হয়! আবার সেসব কিনতে লোকও আসে! জানেন কি! ওই ধরনের বোতল বেচেই সাপ্তাহিক ৩৮ হাজার ডলার পর্যন্ত রোজগার করেছেন স্টেফানি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেজন্য এক নিদারুণ অভিজ্ঞতার জেরে তাকে ছাড়তেই হল এই অদ্ভুত পেশা।

৩১ বছর বয়সী স্টেফানি থাকেন কানেক্টিকাটে। বোতলে বোতলে ‘হাওয়া কা ঝঁওকা’ জমিয়ে তা বিক্রি শুরু করেন তিনি। দ্রুত এই অভিনব পণ্য কিনতে লাইন লেগে যায়! এক বোতলের দাম ধার্য করা হয় ১ হাজার ডলার! কিন্তু এত চড়া দামেও ক্রেতার অভাব হয়নি। আর তার জেরেই স্টেফানির সাপ্তাহিক রোজগার হয়েছিল ৩৮ হাজার ডলার।

ক্রমে চাহিদা এতই বাড়তে থাকে যে ১ সপ্তাহে ৫০টি পর্যন্ত বোতল বিক্রি হয়। আর এত বেশি পরিমাণে বাতকর্ম ‘উৎপাদন’ করা তো সহজ ব্যাপার নয়। তাই স্টেফানির হাল হয়ে যায় বেহাল! তিনি নিজেই জানিয়েছেন একদিন তিনি তিনটি প্রোটিন শেক ও এক অতিকায় বাটি ব্ল্যাক বিন স্যুপ খেয়ে ফেলেন। এরপরই তাঁর শরীর অসুস্থ হতে শুরু হয়।

স্টেফানির কথায়, ”আমার নিঃশ্বাস নিতেও কষ্ট হচ্ছিল। যতবারই শ্বাস নিতে যাই, বুকের মধ্যে ব্যথা চিনচিন করে ওঠে।” অর্থাৎ তাঁর লিভারে অসম্ভব চাপ অনুভূত হচ্ছিল। স্টেফানির মনে হয়েছিল, এবার বুঝি স্ট্রোক হয়েই মরে যাবেন তিনি। শেষমেশ নিজেকে বাঁচাতে ছুটে গিয়েছিলেন হাসপাতালে। তবে ডাক্তারকে নিজের পেশা সম্বন্ধে কিছুই জানাননি তিনি।

শেষমেশ অবশ্য পরিস্থিতি সামলে নিয়ে ডায়েট পর্যন্ত বদলে ফেলেছেন। স্টেফানি অবশ্য জানতে পেরেছেন, স্ট্রোক কিংবা হার্ট অ্যাটাক কোনওটাই হয়নি তাঁর। যা হয়েছিল তা ভয়ানক গ্যাসের যন্ত্রণা। যাই হোক, আর বাতকর্ম বিক্রির বিদঘুটে পেশা বিসর্জন দিয়ে এখন ডিজিটাল আর্ট ফর্ম বিক্রি করার দিকেই মন দিয়েছেন তিনি। আর তাতে খুশি তাঁর বাড়ির লোক। রোজগার যাই হোক না কেন, এ আবার কেমন পেশা!