দিনের পর দিন এখন আত্মহত্যার প্রবণতা যেন মানুষের মধ্যে বেড়ে চলেছে, আট থেকে শুরু করে আশি বয়সী সবাই কমবেশি এই পথ অবলম্বন করছে। যার কারনে এর প্রভাব পড়ছে সমাজে। প্রায়শই বর্তমানে মানুষ স্বীকার হচ্ছে ডিপ্রেশনের, আর সেখান থেকেই এই আত্মহত্যার প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে অনেকটাই।
সম্প্রতি এই সূত্র ধরেই এক মর্মান্তিক ঘটনা ঘটালো রাজস্থানের আলওয়ার জেলার এক নাবালক। একটা সামান্য কারনের জন্য আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন এক নাবালক, সামান্য স্কুল ইউনিফর্ম খুঁজে না পাওয়ায় গলায় দড়ি দিলেন নাবালক।
এখানেই শেষ নয়, সে একটি সুইসাইড নোট পর্যন্ত লিখে গেছেন, যেখানে মায়ের উদ্দেশ্যে লেখা রয়েছে , এটা আমার পক্ষ থেকে মায়ের জন্য জন্মদিনের উপহার। এই ঘটনা জানতে পেরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়, দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠানো হয়।
আরো পড়ুন: দেউলিয়া হওয়ার পথে দেশ, পাকিস্তানকে আ’র্থি’ক সাহায্য করার ই’চ্ছে একাধিক ব’ন্ধু রাষ্ট্রের!
অবশ্য সেই সুইসাইড নোট পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছে। সেখানে স্পষ্ট লেখা রয়েছে, মা এখন তুমি স্কুলে যেতে দেরি করবে না। বিশ্বের সেরা জন্মদিনের উপহার, স্বাভাবিকভাবে এটি একটি স্পর্শকাতর বিষয়। ইতিমধ্যেই পুলিশ নাবালকের পরিবারকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
নাবালকের মা একজন শিক্ষিকা, তার বাবা মারা যান কয়েক বছর আগেই। মা ও ছেলে দুজনে একটি ভাড়া বাড়িতে থাকে। স্কুল ইউনিফর্ম কিনে দেওয়ার বায়না করে ছেলে কিন্তু মা জানায় সেটা এনে দেবে, কিন্তু কাজের চাপে সেটা ভুলে যায় তিনি।
পরে আবার তার মায়ের জন্মদিনের দিনও সে স্কুল ইউনিফর্ম এর জন্য বায়না করে। কিন্তু তার মা বকুনি দিয়ে বলে তার স্কুলে যেতে দেরি হয়ে যাবে , আসার পথে সে নিয়ে আসবে। কিন্তু এই সামান্য কথা যে এত বড় কান্ড ঘটিয়ে দেবে, সেটা আন্দাজ করতে পারেননি সেই শিক্ষিকা।।