ফেসবুক মারফত বিজেপি দল ত্যাগ করার ঘোষণা তিনি আগেই করে দিয়েছিলেন। শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে তৃণমূল শিবিরে যোগদান করলেন বাবুল সুপ্রিয়। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীত্ব হারানোর পর থেকেই কার্যত দলের সঙ্গে তার দূরত্ব বাড়ছিল। যদিও প্রাথমিকভাবে বিজেপি ছাড়লেও অন্য কোনো দলে যোগদান করবেন না বলেই জানিয়েছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। কিন্তু সিদ্ধান্ত বদলে তৃণমূলের সবুজ পতাকা হাতে তুলে নিলেন তিনি।
তৃণমূল শিবিরে যোগদান করার পরে সাংবাদিক সম্মেলনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি তার দল ত্যাগ করার একাধিক কারণ তুলে ধরলেন। তিনি বলেন দীর্ঘ ৭ বছর ধরে মানুষের সেবা করে আসার পর হঠাৎ করেই কেন তাকে সেই দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হলো তিনি বুঝতে পারেননি। আর যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সাধারণ মানুষকে সাহায্য করার জন্য তার দিকে একটি সুযোগ দিলেন তখন তিনি সেই সুযোগ হাতছাড়া করেননি।
It gives us immense joy to welcome the former Union Minister and sitting MP from Asansol, @SuPriyoBabul, into the Trinamool family.
He joined us today in the presence of our National General Secretary @abhishekaitc and RS MP @derekobrienmp.
Moments from the day 👇 pic.twitter.com/vxS9F4yTxw
— All India Trinamool Congress (@AITCofficial) September 18, 2021
তিনি জানান তার মেয়েকে স্কুলে ভর্তি করানো নিয়ে ডেরেক ও ব্রায়নের সঙ্গে তার কথা হয়েছিল। তখনই ডেরেক তাকে দলে আসার পরামর্শ দেন। তিনি সেই অফার মেনে নেন। ২০১৯ সালে জয়ের পর পূর্ণ মন্ত্রিত্ব না পাওয়ায় তার বন্ধু-বান্ধব এবং পরিবার-পরিজনরা অবাক হয়েছিলেন। যদিও সেই বিষয় নিয়ে বেশি কিছু বলতে চাইলেন না বাবুল সুপ্রিয়। প্রতিহিংসাপরায়ণতার জন্য নয়, সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করতেই তিনি তৃণমূল শিবিরে যোগদান করেছেন বলে জানিয়েছেন।
তিনি জানান শীঘ্রই আসানসোলের সাংসদ পদ তিনি ছেড়ে দেবেন। তিনি বলেন তিনি সোমবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করবেন। রাজ্যসভায় অর্পিতা ঘোষের ছেড়ে যাওয়া আসন বাবুল সুপ্রিয়কে দেওয়া হতে পারে, এই নিয়ে জোর চর্চা চলছে রাজনৈতিক শিবিরে। যদিও সেই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে নারাজ বাবুল। তারে দলবদল নিয়ে যতই ট্রোলিং কিংবা মজা চলুক না কেন তিনি এই বিষয় নিয়ে মাথা ঘামাতে নারাজ।