তালিবান জঙ্গীদের সম্পূর্ণ আফগানিস্তান দখলের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে পঞ্জশির। তালিবান বিরোধী যোদ্ধারা এই প্রদেশ কিছুতেই জঙ্গিদের হাতে ছেড়ে দিতে রাজি নয়। তার জন্য যাবতীয় যা কিছু প্রয়োজন, তার জন্য প্রস্তুত তারা। তবে তালিবান জঙ্গিরা সম্পূর্ণ আফগানিস্তানের দখল নিতে বদ্ধপরিকর। তাই তাদের নজরে এখন পঞ্জশির। সম্প্রতি একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে যে পঞ্জশির তালিবানদের দখলে চলে গিয়েছে।
উল্লেখ্য এমনই একটি গুঞ্জন সম্প্রতি প্রচার করতে শুরু করেছিল জঙ্গিরা। তারা তালিবান বিরোধী যোদ্ধাদের মনোবল ভেঙে দেওয়ার জন্য এই প্রচার করতে শুরু করে যে পঞ্জশিরে তালিবান বিরোধী যোদ্ধাদের পরাস্ত করা হয়েছে। ওই প্রদেশ সম্পূর্ণভাবে ঘিরে ফেলা হয়েছে। গোলবাহার রোড থেকে পঞ্জশিরগামী ব্রিজটিকে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও দাবি করা হয়েছিল। তবে তালেবান বিরোধী যোদ্ধারা অবশ্য সেই দাবি অস্বীকার করেছিলেন।
আফগানিস্তানের স্বঘোষিত প্রেসিডেন্ট আমরুল্লাহ সালেহ এবং নর্দান অ্যালায়েন্সের বর্তমান নেতা আহমদ মাসুদ দাবি করেন যে এই প্রদেশ তালিবানদের দখলের বাইরে। এখন আবার তালিবানরা এই প্রচার করছে যে তারা পঞ্জশির দখল করে নিয়েছে। একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে এই খবর। শুক্রবার তালিবান এবং তালিব বিরোধীদের মধ্যে যুদ্ধ হয়েছে। এই যুদ্ধে যোদ্ধাদের পরাস্ত করেছে জঙ্গিরা।
গত দুই সপ্তাহ ধরেই ন্যাশানাল রেসিসটেন্ট ফ্রন্টের সঙ্গে তালিবানদের যুদ্ধ হচ্ছিল। কাবুল থেকে ১৫০ কিলোমিটার দূরে পঞ্জশির উপত্যকা ‘ভ্যালি অফ ফাইভ লায়নস’ হিসেবেও পরিচিত। ১৯৯০ সালের যুদ্ধেও এই প্রদেশের দখল নিতে পারেনি জঙ্গিরা। শুধু তালিবান জঙ্গিরা নয়, সোভিয়েত রাশিয়াও এই প্রদেশের দখল নিতে ব্যর্থ। শনিবার আফগানিস্তানের সরকার গঠন করতে চলেছে জঙ্গিরা। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে।