সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

জামাই ষষ্ঠীতে জামাই হয়ে আসেন স্বয়ং শ্রীচৈতন্য! থাকে বি’রা’ট আয়োজন

জৈষ্ঠ মাসের শুক্ল পক্ষের ষষ্ঠীতে জামাইষষ্ঠী পালন করা হয়। এ বছর আগামী ২৫ শে মে অর্থাৎ ১০ই জ্যৈষ্ঠ জামাইষষ্ঠী। বৃহস্পতিবার পড়েছে জামাই ষষ্ঠী এই দিন বাংলার শাশুরী মায়েদের কাছে এক বিশেষ দিন। এই দিন জামাইদের আদর আপ্যায়ন করে প্রচুর খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।

তবে কি জানেন বাংলায় রয়েছে এমন এক গ্রাম সেখানে জামাই নয় বরং স্বয়ং শ্রীচৈতন্যকে জামাই হিসেবে আরাধনা করা হয়।বলা পারে তার আদর আপ্যায়ন করা হয়। নবদ্বীপের মহাপ্রভু মন্দিরে জামাইষষ্ঠীতে এভাবেই ভগবান মহাপ্রভুর উপাসনা করা হয়।

আসলে এর পিছনে এক অন্য কারন রয়েছে মন্দিরের সেবায়তরা মনে করেন, চৈতন্যদেবের স্ত্রী বিষ্ণুপ্রিয়ার ভাইদের উত্তর পুরুষ তারা। সেই কারণে কয়েকশো বছর ধরে এখানে জামাইষষ্ঠীতে জামাই হিসেবে চৈতন্যকেই মানা হয়। রীতিমেনে ধুমধাম করে জামাইষষ্ঠী পালন করা হয়।

সমস্ত রকম আচার অনুষ্ঠান পালন করা হয় বিগ্রহকে সাদা সিল্কের ধুতি এবং চিকনের পাঞ্জাবি পড়ানো হয়। গলায় পড়ানো হয় উত্তরীয়। মহিলারা মহাপ্রভুকে নতুন পাখা দিয়ে বাতাস করেন।

তার কপালে হলুদের টিপ পরিয়ে হাতে সুতো বেঁধে দেওয়া হয়। এরপর তাকে বরণ করা হয়। রীতিমত রাজকীয় ভোগের আয়োজন করা হয়। উপর থালায় ফল ক্ষীর জল দেওয়া হয়। তারপর চিরে মুরকি দই আম কাঁঠাল মিষ্টি দেওয়া হয়।

দুপুরে থাকেন নানান ধরনের তরকারি, ডাল ভাজা মোচার ঘন্ট থোর বেগুন পাতুরি ছানার ডালনা ধোকা, লাউ চাল কুমড়ো পোস্ত এমন নানান ধরনের পদ। এছাড়া দিনে একটু ঘুমানোর পর নিমাইয়ের জন্য থাকে ছানা এবং মিষ্টি। সন্ধ্যেবেলা দেওয়া হয় ভাজা লুচি তার সঙ্গে মালপোয়া এবং রাবড়ি।