সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

সামান্য ক্যান্টিন স্টাফ থেকে স’ফ’ল কোম্পানির মালিক, জানুন চাঁদুভাই-র জী’ব’ন সংগ্রামের কা’হি’নী

অন্যতম ফেমাস ব্র্যান্ড ‘বালাজি ওয়েফার’-এর নাম শুনেছেন নিশ্চয়ই! এই কোম্পানিতে আলু থেকে যেকোনো মুখরোচক স্ন্যাক্স তৈরি হয়। মূলত সেই জন্যই এই কোম্পানি এত বিখ্যাত। ১৯৮২ সাল থেকে যাত্রা শুরু হয় এই কোম্পানির। তারপর থেকে এই সমগ্র ভারতের সর্বত্র তাদের জিনিসের বিশেষ খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছে। সবথেকে বেশি জনপ্রিয় হয়েছে পশ্চিম ভারতের গুজরাট, মহারাষ্ট্র, গোয়া, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশের বিভিন্ন জায়গায়।

আজকের প্রতিবেদনে আপনাদের জানাতে চলেছি কিভাবে গড়ে উঠেছিল ‘বালাজি ওয়েফার প্রাইভেট লিমিটেড’। ১৯৮২ সালে মাত্র ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে এই ব্যবসা শুরু করেন ষাট বছর বয়সী ‘চাঁদুভাই ভিরানি’। ২০১৭ সালে এসে এই ব্যবসার লাভ এসে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৮০০ কোটি টাকায়।

তবে এই কোম্পানির নাম বালাজি ওয়েফার কেন হল সেই প্রসঙ্গেও রয়েছে এক গল্প। এই কোম্পানির ফ্যাক্টরি রাজকোট থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে ভাজদি গ্রামে একটি ছোট বালাজি মন্দিরের সামনে ৫০ একর জায়গা জুড়ে অবস্থিত। আর ঠাকুর বালাজির নাম অনুসারে এই কোম্পানির নামকরণ করা হয়।

আরো খবর: রাস্তায় ছু’ট’বে আবার খোলা আকাশেও উ’ড়’বে, দেখুন বিশ্বের প্রথম উ’ড়’ন্ত বাইক

কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা চাঁদুভাই দশম শ্রেণীতে পড়াকালীন অ্যাস্ট্রোন সিনেমা হলের ক্যান্টিনে রান্না এবং দেখাশোনা সংক্রান্ত একটি চাকরি পান। তখন তার পারিশ্রমিক ছিল ৯০ টাকা, যা তাদের সংসারের জন্য যথেষ্ট ছিল না, আর তাই অতি কষ্টেই তারা তিন ভাই জীবনযাপন করত।

 

সিনেমা হলে কাজ করার পাশাপাশি তিনি এবং তার ভাই আলুর তৈরি স্ন্যাকসও বিক্রি করতে শুরু করেন। তারপর হঠাৎই তারা ঠিক করেন যে এবার থেকে নিজেরাই এটি তৈরি করার কাজ করবেন। সেখান থেকেই শুরু তাদের এই আলুর চিপস্, নিমকি ও স্ন্যাক্স তৈরীর ব্যবসা।, যা এখন গোটা দেশে নাম করেছে।

বর্তমানে তার বিশাল বড় ফ্যাক্টরিতে ২ হাজারটিরও বেশি গাছ, গরু এবং একটি বায়ো গ্যাসের ব্যবস্থা রয়েছে। ফ্যাক্টরিতে প্রতিদিন প্রায় ৫ হাজার কিলো আলুর তৈরি বিভিন্ন স্ন্যাক্স বানানো হয়। ভাবতে অবাক লাগবে যে এখানে প্রতিদিন ৩০ রকমের নোনতা তৈরি হয়।