সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

মাতৃদুগ্ধ না খা’ও’য়া’লে শিশুর শ’রী’রে মায়ের অ্যান্টিবডি প্র’বে’শ করবে না

জন্মের সময় একটি শিশুর যে পরিমাণ ওজন থাকে, তার তিনগুণ বেড়ে যায় প্রথম বছরে, অন্তত বেড়ে যাওয়া উচিত। শিশু যদি ফর্মুলা দুধের তুলনায় মাতৃদুগ্ধ বেশি খায়, সেটি তার শরীরের পক্ষে উপকারী। স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ অথবা অন্য যে কোন চিকিৎসকরা বারবার পরামর্শ দিচ্ছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে কোনভাবেই মাতৃদুগ্ধ পান করানো বন্ধ করে দেবেন না।

চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, অনেক কারণে মায়ের শরীরে মাতৃদুগ্ধ পর্যাপ্ত তৈরি হয় না। এই অবস্থায় ব্রেস্ট ম্যাসাজ অথবা অন্য কোন উপায়ে বেছে নিতে হবে আপনাকে কিন্তু আপনার শরীরে দুধ যাতে তৈরি হয় সেই দিকে নজর দিতে হবে আপনাকে। অন্যদিকে যদি বেশি দুধ তৈরি হয়ে যায় তা বারবার ব্রেস্ট পাম্পের সাহায্যে বের করে দিতে হবে। দুধ যদি বেরিয়ে না যায় তাহলে দুধ তৈরি হবে না পর্যাপ্ত পরিমাণে। দুধ তৈরি করার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খেতে হবে, ক্যাফেইন কম খেতে হবে, ঈষৎ উষ্ণ গরম জলে স্নান করতে হবে। মানসিক চাপ একেবারেই নেওয়া চলবে না।

মাতৃদুগ্ধের মাধ্যমে মায়ের শরীর থেকে আন্টি বডি শিশুদের শরীরে চলে যায়। ফর্মুলা মিল্ক দ্বরা সেটা কোনভাবেই সম্ভব হয় না। যদি শিশু মাতৃদুগ্ধ না খেতে চায় তাহলে অন্য কোন উপায়ে চেষ্টা করতে হবে আপনাকে। বাচ্চাকে কোলে নিয়ে বারবার স্থান পরিবর্তন করে দুগ্ধপান করানোর চেষ্টা করতে হবে আপনাকে।খিদে পেলে তখনই স্তন্যপান করান, জোর করে দুগ্ধ পান করাতে গেলে শিশুদের অস্বস্তি হতে পারে। মায়ের শরীরের সঙ্গে শরীরের সংস্পর্শে থাকা খুবই জরুরী। আপনি তার সঙ্গে সংস্পর্শে থাকলে তবেই সে দুগ্ধ পান করবে।

নতুন মায়েরা অবশ্যই টিকাকরণ নিয়ে রাখুন। আপনি সুরক্ষিত থাকলে তবেই আপনার শিশু সুরক্ষিত থাকবে। মায়ের টিকাকরণ হলে তাদের শরীরে আইজিজি এবং আইজিএ অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে যায় যা মাতৃদুগ্ধের মাধ্যমে শিশুদের শরীরে প্রবেশ করে এবং শিশুদের সুরক্ষিত রাখে। মাতৃদুগ্ধের পক্ষে কোন কিছু ক্ষতিকর নয় তাই নিরাপদে ভ্যাকসিন নিন এবং আপনার শিশুকে সুরক্ষিত রাখুন।

কোভিদ আক্রান্ত হলেও দুগ্ধ পান করানোর পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। তবে এক্ষেত্রে স্তন্যপান করানোর আগে ভালো করে হাত পা ধুয়ে নিতে হবে। কোন জিনিসে হাত দেবার পর বাচ্চাকে ধরতে গেলে হাত ভালো করে পরিষ্কার করে নিতে হবে। মাক্স পড়ে স্তন্য পান করাতে হবে এবং বাচ্চাকে স্তন্যপান করানোর সময় কাশি পেলে আটকানোর চেষ্টা করতে হবে। এইভাবে আপনি এবং আপনার সন্তান সুরক্ষিত থাকতে পারে।