নতুন করে আর মনে করিয়ে দেওয়ার দরকার নেই, যে বর্তমান ডিজেল পেট্রোল, কাচামালের দাম কেমন আকাশ ছোঁয়া। দেশে বর্তমানে চলছে মূল্যবৃদ্ধি, আর সেই মূল্যবৃধির কূনজর আজ যে প্রত্যেকটা জিনিসের ওপরেই সমান চোখ রাঙাচ্ছে সেটা কিন্তু নতুন করে বলার দরকার নেই। ডিজেল পেট্রোলের দাম বৃদ্ধির প্রভাব সব কিছুর ওপরেই পরেছে, বাদ যায় নি শিল্পক্ষেত্রও, কারণ রাজ্যের যে শিল্প সংগঠন রয়েছে তাদের দাবি আগের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে প্রচুর খরচ। যার ফলেই লক্ষ্য করলে দেখা যাবে আগামী বছরের ফ্ল্যাট বাড়ির দাম বৃদ্ধি পাবে ১০%।আমরা সবাই জানি সবথেকে আবাসনের কম দামের বাজার পশ্চিমবঙ্গ। কিন্তু সেখানেও যখন মূল্যবৃদ্ধির থাবা এসে পরেছে, তাহলে আগামী বছর থেকেই মধ্যবিত্তের পকেটে টান পরতে শুরু করবে এটা স্পষ্ট।
সূত্রের মাধ্যমে জানা গেছে, পশ্চিমবঙ্গের বাজার তুলনামূলক অনেকটাই কম দামী, তাহলে মূল্যবৃদ্ধি হলে যে প্রথমেই এর ওপর প্রভাব পরবে সেটা স্বাভাবিক। দামী ফ্ল্যাটের হিসেবে কমদামী ফ্ল্যাটের চাহিদাও যেমন বেশী তেমনি নির্মাণ খরচও।কোভিডের কারণে সবকিছুর সাথে আবাসন শিল্পেও দারুণ নেতিবাচক প্রভাব পরেছে। তবে কিছুটা হলেও রেহাই পাওয়া গেছে বলে মনে করা হয়, কারণ মহারাষ্ট্রের মতো স্ট্যাম্প ডিউটিতে ছাড় দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। আর যে কারণেই মানুষের চাহিদা ও ফ্ল্যাট কেনার সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে অনেকটাই।
কিন্তু এবার সেই সুখের দিন শেষ বলেই মনে করছে শিল্পকর্তারা।হিসেবমতো জুলাই থেকে নভেম্বর মাস ও তার পরে নতুন বছরের শুরুর দিক পর্যন্ত স্ট্যাম্প ডিউটি ও সার্কেল রেটে ছাড়নিয়ে কোনও প্রশ্ন না থাকলেও, ক্রেডাই ওয়েস্ট বেঙ্গলের প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, আসলে বর্তমানে নির্মাণের কাঁচামাল, ডিজেল পেট্রোলের দাম অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে, তার ওপরে কাঁচামালের ওপর কয়র ফেরত না পাওয়া যা আরও ফাপোরে ফেলেছে আবাসন শিল্পকে। হিসেব করলে চোখে পরবে প্রতি বর্গফুটে খরচ বেড়েছে ৩৫০-৪০০ টাকার মতো। এখনও কম খরচের তালিকায় থাকা সিংহ ভাগ আবাসন, যার মুনাফার অংশও একেবারে কম।