সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

বাবার অ’স্থি বি’স’র্জ’ন দিতে ভারতে এসে ভালোবাসা ও বি’য়ে, প্রে’মে’র কা’হি’নী হা’র মানাবে ফিল্মকেও

নতুন বছরকে স্বাগত জানাতেই বরাবর নতুন সাজে সেজে থাকে সমুদ্র সুন্দরী গোয়া। ডিসেম্বরের শেষ দিনে মনোরম আবহাওয়া উপভোগ করতে প্রচুর মানুষ এসে ভিড় জমিয়েছিলেন গোয়ার পানশালায়। সেখানেই লক্ষ লক্ষ মানুষের মধ্যেই চোখে চোখ পড়ে গিয়েছিল ওদের দুজনের। নিখিল এবং হিরয়া। তাদের দুজনের প্রেমের সূচনা হয়েছিল গোধূলি বেলার সূর্যকে সাক্ষী রেখে। ২০১০ সালের ৩১শে ডিসেম্বর একে অপরের প্রেমে পড়েছিলেন এই যুগল।

প্রবাসী ভারতীয় নিখিল আমেরিকায় থাকতেন তিনি তখন ডাক্তারি পড়ুয়া। তার বাবা ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছিলেন আমেরিকা থেকে বাবার চিতাভস্ম সঙ্গে নিয়ে ভাইয়ের সাথে ভারতে এসেছিলেন নিখিল। ভারতে আরো দুই দিন থাকবার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তারা। সেই মতো বর্ষবরণের দিন গোয়াতে পৌঁছে গিয়েছিলেন নিখিল এবং তার এক বন্ধু।

ঠিক হয় গোয়ার রঙিন পরিবেশে ঘুরে বেড়াবেন তারা। এদিকে পানশালায় তখন জমজমাট ভিড়।  হঠাৎ নিখিলের চোখ আটকে যায় একজনের দিকে। একদল তরুণীর মাঝে একটা প্রজাপতির মতো মেয়ে। বছর কুড়ির মেয়েটির মধ্যেই অষ্টাদশীর ছোঁয়া। তাকে দেখেই মন দিয়েছিলেন নিখিল। মন চুরি হয়ে গিয়েছিল হিরয়ার।

আরো খবর: জলে ভাসমান ৫ স্টার হোটেল! আজ “গঙ্গা বিলাস” ক্রুজের শু’ভ উ’দ্বো’ধ’ন হলো

পানশালা কিছু শর্ত ছিল মহিলারা বিনা পয়সায় প্রবেশ করতে পারলেও পুরুষরা প্রচুর টাকা দিলে তবেই ঢুকতে পারবেন সেখানে। তবে যদি কোন মহিলা সঙ্গিনী থাকে কিছুটা ছাড় পাওয়া যাবে। পানশালার বাইরে নিখিলের বন্ধুর প্রস্তাবে রাজি হয়ে গিয়েছিলেন হিরোয়া। সেই থেকেই শুরু হয় প্রেম কাহিনী।

ডান্স ফ্লোরে দীর্ঘক্ষণ একে অপরের দিকে তাকিয়ে ছিলেন। সেই হাত ধরা সারা জীবন মনে করে রেখেছেন নিখিল হিরয়া। ডান্স ফ্লোরে তখন জোরে জোরে বাজছিল ব্রেক মাই হার্ট। সেই গান শুনে দুজনের মনের কলিংবেল বেজে গিয়েছিল। যদিও দুজনের কেউই ফোন নম্বর আদান প্রদান করেননি।

কিন্তু বিধাতা বোধহয় আগে থেকেই তাদের দুজনের যোগসূত্র ঠিক করে দিয়েছিলেন। নিখিলের এক বন্ধু মেয়েটির ফোন নাম্বার নিয়ে নিখিলকে দিয়েছিলেন। সেখান থেকেই প্রথম মেসেজ হ্যাপি নিউ ইয়ার ফ্রম নিখিল। নতুন বছরের সূচনা লগ্নেই শুরু হয়ে গেল তাদের নতুন প্রেম কাহিনী।

আরো খবর: জলে ভাসমান ৫ স্টার হোটেল! আজ “গঙ্গা বিলাস” ক্রুজের শু’ভ উ’দ্বো’ধ’ন হলো

নিখিলের নম্বর নিউ ইয়ার বয় বলে সেভ করে রাখেন তার প্রেমিকা। ভিন্নদেশ তবুও কথাই বলে চোখের আড়াল মানেই মনের আড়াল নয়। প্রমাণ করেছিলেন ডাক্তারীর ছাত্র নিখিল এবং এমবি এর ছাত্রী হিরয়া।

ফোন ভিডিও কলিং এর মাধ্যমে তাদের কথোপকথন হতো। বাড়িতে নিখিলের কথা জানাতেই কেটে ফেলেন মেয়ের মা। কারণ বিয়ের পর মেয়েকে পাঠাতে হবে আমেরিকায়। অবশেষে দু বছর প্রেম পর্ব চলবার পর ২০১২ সালের নভেম্বর মাসে ভারতেই বিয়ের আসর বসে। বছরের অন্তিম প্রেম পরিণতি পেয়েছিল আজীবনের জন্য।