সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

ঘুমিয়ে ঘুমিয়েই ক’মে যা’বে ওজন! তবে জানতে হবে প’দ্ধ’তি

এখনকার সময় সব থেকে সমস্যার জনক একটি সমস্যা হলো ওজন বেড়ে যাওয়া। আমরা সকলেই এই ওজন বেড়ে যাওয়ার যন্ত্রনায় ভুগছি, তাই সকলেই চাই ওজন যাতে কিভাবে কমে যায়। একটু ওজন কমানোর জন্য খাওয়া-দাওয়ার নিয়ন্ত্রণ থেকে শরীরচর্চা সবকিছুই করি আমরা। কিন্তু দিনের শেষে তেমনভাবে ফলাফল পাইনা। তবে আপনাকে যদি কেউ বলে আপনি ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে ওজন কমিয়ে ফেলতে পারেন তাহলে নিশ্চয়ই খুশি হবেন আপনি।

সত্যি যদি ঘুমের মধ্যে ওজন কমানো সম্ভব হতো তাহলে কে না চাইতে ওজন কমাতে। কিন্তু প্রশ্ন হল এমন করে কি ওজন কমানো যায়। নিশ্চয়ই যায়। আসলে আমরা ঘুমিয়ে থাকলেও ঘুমের মধ্যে আমাদের শরীরের প্রত্যেকটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ তাদের কাজ চালিয়ে যায়। কিছু ক্যালোরিও খরচ হয় এতে। এছাড়াও সারারাত আপনি আপনার শরীরে শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়ার কারণে কিছু ক্যালরি বার্ন হয়। আপনার শৈলী বাড়তি কিছু জল ঝরে যায়।

সকাল বেলা উঠেই যদি আপনি ওজন মাপার চেষ্টা করেন সেক্ষেত্রে দেখবেন আপনার ওজন কিছুটা হলেও কমে গেছে। তাই মনে করা হয় রাতের পর রাত যদি ঘুম না ভালো হয় সেক্ষেত্রে মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়। এক্ষেত্রে আপনার ওজনে বেড়ে যেতে পারে। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে আপনার শরীরে মানসিক চাপের হরমোন মানে করোটিসলের ক্ষরণ বেড়ে যায় বেশি মাত্রায়।

শরীরের বিপাক হার কমে যায় এবং বেশি রাত অব্দি জেগে থাকলে উল্টাপাল্টা খাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায় ফলে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। এইসব থাকলে আপনার ওজন বেড়ে যেতে যে বেশি সময় নেবে না তা বলাই বাহুল্য।

আরো খবর: “শ্রম দিয়েছি, কেন টা’কা ফেরত দেব?”, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নি’র্দে’শকে চ্যা’লে’ঞ্জ বা’তি’ল Group-D কর্মীদের

এবার জেনে নিন কিভাবে ঘুমের মধ্যে ক্যালোরি কমিয়ে ফেলতে পারবেন আপনি।

আপনি যদি ওয়েট ট্রেনিং করেন তাহলে সকালের বদলে সন্ধ্যেবেলা করতে পারেন। শরীরের বিপাক হার শরীরচর্চার পর ১৬ ঘন্টা পর্যন্ত বেশি থাকে তাই ঘুমের মধ্যেও আপনার শরীরের ক্যালরি খরচ হয়ে যাবে।

বেশিরভাগ মানুষ রাতে খাওয়া দাওয়ার পর ঘুমোতে চলে যান কিন্তু খাওয়ার পরেই ঘুমোতে যাওয়ার অভ্যাস বা ফোন ঘাটাঘাটি করার অভ্যেস ছেড়ে দিতে হবে। অন্তত ঘন্টা দুয়েকের মধ্যে না ঘুমানোই ভালো। এতে খাবার ভালো হজম হয় এবং ঘুমের মধ্যে ওজন কমে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যায়।।

শরীর চর্চা করার পর যদি ঠান্ডা জলে স্নান করেন সে ক্ষেত্রে আপনার শরীর থেকে ল্যাকটিক অ্যাসিড বেরিয়ে যেতে পারে। কিন্তু এটি সক্রিয় থাকলে শরীরের বিপাক হার বেড়ে অনেকক্ষণ পর্যন্ত ক্যালরি ঝরতে থাকে। ৩০ সেকেন্ড যদি বরফ ঠান্ডা জলে স্নান করতে পারেন আপনি আপনার শরীর চর্চা করার পর সে ক্ষেত্রে ৪০০ ক্যালোরি পর্যন্ত আপনি ঝরাতে পারবেন।

গ্রিন টি শরীরের বিপাক হার বাড়াতে সাহায্য করে। দিনে যদি তিন কাপ চা খান এবং তার মধ্যে শেষ কাপটি ঘুমের আগে খেলে ঘুমের মধ্যে ৩.৫% বেশি ক্যালরি ঝরাতে পারেন আপনি। তাই রাতে খাওয়া দাওয়া এবং ঘুমানোর মাঝে এক কাপ গ্রিন টিতে চুমুক দিতেই পারেন আপনি।

রাতে জেগে মোবাইল ওয়েব সিরিজ দেখার অভ্যেস অনেকেরই আছে কিন্তু এই অভ্যাস থাকার কারণে রাতে তিন চার ঘণ্টার বেশি ঘুম হয় না তাই ওজন বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়ার অভ্যেস ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে।