৩৪ বছরের পুরোনো মামলায় শেষমেষ রায় ঘোষণা হল। দোষী সাব্যস্ত হলেন কংগ্রেস নেতা নভজ্যোৎ সিং সিধু। সুপ্রিম কোর্টের তরফে তাঁকে এক বছরের জন্য সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ১৯৮৮ সালে এক পথ দুর্ঘটনার মামলায় প্রথমে সিধু সামান্য জরিমানা দিয়ে সাজা পেয়েছিল ঠিকই, তবে মৃত ব্যক্তির পরিবার ছাড়বার পাত্র নয়।
তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে ফের একবার মামলার শুনানি শুরু হয়। আর সেখানেই সিধুর এই সাজা ঘোষণা করে শীর্ষ আদালত। নভজ্যোৎ সিং সিধুর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, ১৯৮৮ সালের ২৭ ডিসেম্বর পাতিয়ালার শেরানওয়ালা গেট ক্রসিং এর কাছে একটি রাস্তায় মাঝ বরাবর একটি জিপসি গাড়ি দাঁড় করিয়ে রেখেছিলেন সিধু।
সেই সব গুরনাম সিং নামক এক ব্যক্তি সহ দুইজন সামনের একটি ব্যাঙ্কে টাকা তুলতে যাচ্ছিলেন। সেই সময় ওই ব্যক্তি সিধুকে গাড়ি সরাতে বললে সিধু এবং তাঁর সঙ্গে উপস্থিত রুপিন্দর সিং সান্ধু সরতে অস্বীকার করে। তখনই তাদের মধ্যে শুরু হয় বচসা।
আরো পড়ুন: এটি একটি অন্য ধামযা’ত্রা! খা’রা’প সময়ে এই মন্দিরেই এসেছিলেন জুকারবার্গ-স্টিভ জবস
ওই বচসার সময় নভজ্যোৎ সিং সিধু নিজের মাথা ঠিক রাখতে না পেরে গুরনাম সিংকে ভারী জিনিস দিয়ে আঘাত করে বলে অভিযোগ উঠেছিল। পরে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হলে সিধুর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়।
১৯৯৯ সালে পাতিয়ালা ট্রায়াল কোর্টের তরফে উপযুক্ত প্রমাণ না মেলায় হত্যার অভিযোগ থেকে মুক্তি দেওয়া হয় তাঁকে। পরে অবশ্য তাঁর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগের বদলে ইচ্ছাকৃতভাবে আঘাত করার অভিযোগ দায়ের করা হয়।
কিন্তু ২০০৬ সালে অভিযোগের ভিত্তিতে সিধু পুনরায় দোষী সাব্যস্ত হয়। সেই সময় তাঁদের তিন বছরের জেল ও এক লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছিল। এই সিদ্ধান্তকে মানতে পারেননি নভজ্যোৎ সিং সিধু, তাই তিনি সুপ্রিম কোর্টের দারস্থ হন।
দীর্ঘ ৩৪ বছর মামলা চলার পর অবশেষে সুপ্রিম কোর্টের তরফেও সাজা পান তিনি। সিধুকে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ এবং আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।