সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

তিনিই বা’স্ত’বে’র লেডি সিঙ্ঘম, জানুন এই মহিলা আইপিএস অ’ফি’সা’রে’র গ’ল্প

কিছু কিছু মানুষের জীবনী পড়লে অথবা শুনলে মনে হয় যে কোন সময় হতাশা হওয়া উচিত নয়। অনেকেই হতাশ হয়ে পরাজয় স্বীকার করে নেন, কিন্তু সেটা কোনোভাবেই উচিত নয়। এই পৃথিবীতে এখনো কিছু মানুষ রয়েছেন যারা ময়দান থেকে না পালিয়ে লড়াই করে নিজের লক্ষ্যে পৌঁছে গেছে। তেমনি একজন মানুষ হলেন তামিলনাড়ুর এন অম্বিকা। এই মানুষটির সাধারণ থেকে অসাধারণ হয়ে ওঠার গল্প সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক। দুই সন্তানের মা হয়ে সংসার সামলায় কিভাবে এই লড়াই তিনি করলেন চলুন জেনে নেওয়া যাক।

তামিলনাড়ুর খুব সাধারণ পরিবারের মেয়ে ছিলেন অম্বিকা। প্রত্যন্ত অঞ্চলের বাসিন্দা ছিলেন যেখানে আজও বাল্যবিবাহ প্রথা প্রচলিত রয়েছে। অম্বিকাকেও মাত্র 14 বছর বয়সে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়। স্বাভাবিকভাবেই তারপর পড়াশোনা করা হয়নি তার। এরপর চার বছর যেতে না যেতেই দুই সন্তানের জননী হয়ে যান তিনি। কিন্তু এই অশিক্ষিত গৃহবধূর জীবন সংসারের মধ্যে হারিয়ে না গিয়ে অন্য স্থানে পৌঁছে যায়।

ips-n-ambika

অম্বিকা এমন একটি দুনিয়ার বাসিন্দা, যার কাছে অসম্ভব বলে কিছু হয়না। তিনি স্বপ্ন দেখেছিলেন তিনি স্বামীর মত পুলিশ অফিসার হবেন। এই স্বপ্ন দেখা শুরু হলো যেদিন তিনি পুলিশ স্বামীর সঙ্গে সাধারণতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন। সেখানে একদল পুলিশ অফিসারকে প্রত্যেকে স্যালুট জানিয়েছিলেন। স্বাভাবিকভাবেই স্বামীর কাছে প্রশ্ন করে বসেন, এনারা কারা যাদের সকলের সম্মান জানাচ্ছেন।

স্বামীর থেকে দিয়ে জানতে পেরেছিলেন এরা হলেন আইপিএস অফিসার। সেদিন থেকেই সম্মান পাওয়ার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন তিনি। তবে এই পোস্টটা খুব সহজ ছিল না বলাই বাহুল্য। মাধ্যমিক পাশ না করতে পারে এই মেয়েটির পক্ষে আই পি এস অফিসার হওয়ার জন্য যে কতখানি ইচ্ছাশক্তি দরকার ছিল তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে কাছের মানুষটিকে সব সময় লড়াইতে পাশে পেয়েছিলেন অম্বিকা।

n. ambika ips

প্রাইভেট টিউশন পড়ে বাড়িতে সংসার সামলে ধীরে ধীরে মাধ্যমিক পাশ করে গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করেন তিনি। কিন্তু আই পি এস অফিসার হওয়ার জন্য তিনি বুঝতে পারেন তাকে সংসার থেকে দূরে থাকতে হবে না হলে তিনি পারবেন না। এই কথা শুনে স্বামী তাকে পাঠিয়ে দেন চেন্নাইতে, যাতে অম্বিকা লক্ষ্য পূরণ করতে পারে। চেন্নাইয়ে কঠোর পরিশ্রম করে পড়াশুনা করেন অম্বিকা। প্রথম তিনবার ফলাফল ভালো না হলেও লক্ষ্যে স্থির ছিলেন তিনি। লড়াইয়ের ময়দানে কোনোভাবেই ছাড়তে চান না তিনি। অবশেষে 2008 সালে চতুর্থবারের বয়সে তিনি তার লক্ষ্য অর্জন করে ফেলেন। সাধারণ গৃহবধু হয়ে ওঠেন আইপিএস অফিসার। আজ মুম্বাইয়ের ডিপার্টমেন্টের সকলে তাকে লেডি সিঙ্গাম বলে জানেন।