সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

তরুণীর সাথে স’হ’বা’সে’র সম্পর্ক! বি’চ্ছে’দ হতেই আ’ত্ম’হ’ত্যা ডলফিনের

ডলফিন অত্যন্ত বুদ্ধিমান প্রাণী। মানুষের থেকে বেশি না হলেও বুদ্ধির নিরিখে মানুষের তুলনায় কোনো অংশে কম যায় না ডলফিন। তাইতো ডলফিনের সঙ্গে মানুষের সখ্যতা গড়ে ওঠে খুব সহজেই। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে এই প্রাণীর উপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হয়। বিশেষজ্ঞরা ডলফিনদের উপর পরীক্ষা চালাতে গিয়ে সম্প্রতি এমন এক তথ্যের উন্মোচন করলেন যা জেনে কার্যত সারা পৃথিবীর মানুষ হতবাক হয়ে গিয়েছেন।

ওই গবেষণা রিপোর্টে প্রকাশ করা হয়েছে এক মার্কিন তরুণীর প্রেমে অন্ধ হয়ে আত্মহত্যা করেছিল এক ডলফিন। মার্গারেট হোই লোভাট নামের ওই তরুণী আজ একজন অশীতিপর বৃদ্ধা। তিনি জানাচ্ছেন ছোটবেলা থেকেই তিনি পশুপাখিদের সান্নিধ্যে থাকতে খুব ভালোবাসতেন। তার এমন আগ্রহ দেখে তাকেও গবেষণার কাজে নেয় নাসা‌। ১৯৬৩ সালে নাসার অনুদানে এই গবেষণা শুরু হয়েছিল। সেখানে ওই তরুণীকে তিনটি ডলফিনের সঙ্গে থাকতে দেওয়া হয়েছিল।

পিটার, পামেলা ও সিসি এই তিন ডলফিনের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করেন ওই তরুণী। বাকি দুইজন এর তুলনায় পিটারের সঙ্গে তার সংযোগ কিছুটা বেশি স্থাপন হয়েছিল। পিটার ছিল অন্যান্যদের তুলনায় একটু বেশি দুষ্টু। তার সঙ্গে মার্গারেটের অনেক বেশি সখ্যতা গড়ে ওঠে। পিটারকে মার্গারেট ইংরেজি শেখানোর চেষ্টা করতেন। যে কারণে তাকে দীর্ঘক্ষণ জলেই থাকতে হতো।

মার্গারেট জানাচ্ছেন, এরপর আচমকাই গবেষণা বন্ধ করে দেয় নাসা। সেই সময় পিটারকে ১ হাজার মাইল দূরে ফ্লোরিডার এক ছোট ল্যাবরেটরিতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু মার্গারেটের সঙ্গে এই দূরত্ব সহ্য করতে পারেনি পিটার। মনের দুঃখে তাই সে আত্মহত্যা করে। গভীর জলে ডুব দেয় সে। দীর্ঘক্ষণ নিঃশ্বাস বন্ধ রেখে তার মৃত্যু হয়। পিটারের মৃত্যুর খবর মার্গারেটের কাছেও এসে পৌঁছেছিল। সঙ্গিনীকে হারিয়ে সে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।