এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হয়েছে কিছুদিন আগেই। এই মাধ্যমিক শেষে শিক্ষকদের বিভিন্ন বিষয়ের খাতা বিলি বণ্টন শুরু হয়েছে সদ্য। আর তা দেখতে গিয়েই এমন অভিজ্ঞতা তাঁদের।
বানান, বাক্যগঠন, শব্দচয়নের ভুল নতুন নয়। কিন্তু এ বারের খাতায় পরীক্ষার্থীদের উত্তরের বহর দেখে রীতিমতো স্তম্ভিত শিক্ষকেরা। বাংলা-ইতিহাস-ভূগোল প্রায় সব বিষয়েই এমন উত্তরের ছড়াছড়ি বলে জানা গিয়েছে।
তবে উত্তর দূরস্থান; বরং খাতা জুড়ে হুবহু প্রশ্নপত্রটাই ঢুকে গিয়েছে কেউ। কেউ বা, উত্তর যা লিখেছে তার সঙ্গে প্রশ্নের নূন্যতম সংশ্রব নেই। কেউ বা খাতা জমা দিয়েছে একটি অক্ষরও না লিখে।
করোনা-পর্বের পরে খাতায় কলমে প্রথম বার মাধ্যমিকের খাতা দেখতে গিয়ে তাই চোখ কপালে উঠেছে পরীক্ষকদের। হতভম্ব এক শিক্ষকের তাই আফসোস, ‘‘এত বছর ধরে মাধ্যমিকের খাতা দেখছি, এমন দুর্দশা কখনও দেখিনি।”
এই করোনা পরিস্থিতির মধ্যে ছেলেমেয়েরা যে নানান প্রতিবন্ধকতার মধ্যে পড়াশোনা করেছেন, তা অস্বীকার করা যায় না। আর সেজন্য ‘সহানুভূতিশীল’ হয়ে খাতা দেখার নির্দেশ রয়েছে পরীক্ষকদের। কিন্তু শূন্য খাতায় কতটা আর সহানুভূতি দেখানো যায়, প্রশ্ন পরীক্ষকদের একাংশের।