কদিন ধরেই বারবার নিন্নচাপ তৈরি হচ্ছে বঙ্গোপসাগরে। প্রশাসন থেকে সাবধান করা হচ্ছে বারবার তাও দুর্ঘটনা কিছুতেই আটকানো যাচ্ছে না। কদিন আগেই দীঘায় একটি ছেলের সমদ্রের জোয়ারে মৃত্যুর খবর আমরা সকলেই দেখেছি। তার মধ্যেই আবারও একটি দুর্ঘটনা ঘটে গেলো।
বঙ্গোপসাগর থেকে ফেরার পথে ডুবে গেলো এক আস্ত ট্রলার। এই সাগরে নিম্নচাপ অতি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার কথা শুক্রবার। দুর্যোগের পূর্বাভাস পেয়ে ফেরার পথেই ঘটে গেলো বিপত্তি। কেঁদো দ্বীপের কাছে চড়ায় ধাক্কা মেরে উল্টে যায় ট্রলার । মৎস্যজীবীদের খোঁজে সাহায্য নেওয়া হচ্ছে উপকূলরক্ষী বাহিনীর।
জানা যাচ্ছে আবহাওয়া খারাপ বুঝেই তারা তড়িঘড়ি ফিরে আসতে চাইছিলেন তবে তাদের ফেরা আর হলো না। জানা গিয়েছে ১৮জন মৎসজীবী এখনও নিখোঁজ। তাদের খোঁজার চেষ্টা করা হচ্ছে। আবহাওয়া সূত্রে খবর সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকা গুলিতে ইতিমধ্যেই ঝোড়ো হাওয়া থেকে বৃষ্টিপাত সবই শুরু হয়ে গেছে।
আরো পড়ুন: ম’দ্য’পা’ন থেকে বি’র’ত থাকছে তরুণ প্রজন্ম! সরকারের বিপুল রা’জ’স্ব ক্ষ’তি
ঝরখালির কোস্টাল থানা থেকে মৎস্যজীবিদের নদীতে যেতে বারণ করা হচ্ছে সকাল থেকেই। ঝোড়ো হাওয়া দীঘা তাজপুরেও বইতে আরম্ভ করেছে। হাওয়া অফিস থেকে জানাচ্ছে যে, এই নিম্নচাপ বেশ গভীর। আস্তে আস্তে ওড়িশার বালেশ্বর ও বাংলার সাগর দ্বীপের মধ্যে দিয়ে আজ সন্ধেতে প্রবেশ করবে স্থলভাগে।
তারপর ক্রমশ উত্তর ওড়িশা, বাংলা ও ঝাড়খণ্ড পেরিয়ে ছত্তীশগড়ের দিকে এগোবে। এই নিম্নচাপের কারণে আজ ও আগামী ২৪ ঘণ্টা গোটা দক্ষিণবঙ্গেই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে। উপকূলের জেলা, সংলগ্ন জেলা ও পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা ও থাকতে পারে। এভাবেই এই জায়গা গুলির ওপর দিয়ে যেতে যেতেই এই ঘূর্ণিঝড় দুর্বল হবে বলে জানা গেছে।