সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

স্ত্রীর দে’হ পুঁ’তে উপরে শৌচা’গা’র নির্মাণ, মু’খ ফ’স্কে বলে ফেললেন স্বামী

মানুষ যে কতটা নৃশংস হতে পারে তার ধারণা আমাদের অনেকেরই নেই। সম্প্রতি নদিয়া জেলায় ঘটেছে এক ভয়ানক ঘটনা। নদিয়ার ধানতলা থানা এলাকার শংকরপুর গ্রামে তৃতীয় পক্ষের স্ত্রীকে খুন করে দেহ পুঁতে দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। সেই ব্যক্তি এটুকুতেই থেমে থাকেননি।

খুনের ঘটনা ধামাচাপা দিতে স্ত্রী এর কবরের উপরেই নতুন শৌচালয় গড়ে তোলেন এবং তৈরি করেন কংক্রিটের নতুন মেঝে। আর এহেন নৃশংস কর্ম কান্ডের কথা জানাজানি হতেই গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয় সূত্রে দাবি, দাম্পত্য কলহের জেরেই রাগের মাথায় ওই ব্যক্তি এই কাণ্ড ঘটিয়েছে।

এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই অভিযুক্ত ব্যক্তির কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। অভিযুক্তের নাম রবীন্দ্রনাথ রায়। এ প্রসঙ্গে স্থানীয়রা আরও বলেন, দিন পনেরো আগে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে তুমুল অশান্তি হয়। আর তারপরই রবীন্দ্রনাথ রায় তার তৃতীয় পক্ষের স্ত্রী মাম্পি চক্রবর্তীকে খুন করে বাড়ির শৌচালয়ে গর্ত খুঁড়ে তার দেহ পুঁতে দেয়।

আরো পড়ুন: আজ থে’কে যতো মৃ’ত্যু হবে তার দা’য় ন্যাটোর, এবার ক্ষো’ভ উ’গ’ড়ে দিলেন জেলেনস্কি

হয়তো পুরো বিষয়টাকেই ধামাচাপা দিতে চেয়েছিল সে। তাই সেই ‘কবরের’ উপর ঢালাই করে শৌচালয়টিকে আবার নতুন করে তৈরি করানো হয়। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। পরে এক বন্ধুর কাছে মুখ ফসকে গোটা ঘটনা জানিয়ে ফেলে রবীন্দ্রনাথ। আর সেই বন্ধুই গোটা ঘটনা জানান ধানতলা থানার পুলিশকে।

ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশবাহিনী এবং রানাঘাট-২-এর BDO। তারপর ঘটনাস্থল থেকে মাটি খুঁড়ে মাম্পি চক্রবর্তী দেহটি উদ্ধার করেন তারা। দেহটিকে প্রথমে আড়ংঘাটা হাসপাতালে পাঠানো হয়।

তারপর সেখান থেকে দেহটি পাঠানো হয় রানাঘাট পুলিশ মর্গে। এ প্রসঙ্গে পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসা বাদ করা হলে তাঁরা বলেন, এসব তাঁরা কিছুই জানতেন না।

তবে একটা জলজ্যান্ত মানুষ এতদিন কোথায় ছিলেন, সেই খোঁজ নেওয়ারও চেষ্টাও কি করেননি তাঁরা? এই প্রশ্নই বারবার উঠে আসছে তদন্তের মাধ্যমে। প্রতিবেশীদের দাবি করেছেন, রবীন্দ্রনাথ জুয়া, মদ ইত্যাদি নেশায় একেবারে আসক্ত।

আরো পড়ুন: এই লক্ষণগুলো দে’খে বুঝবেন আপনার স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা অ’নে’ক বে’শি!

আর তার জেরেই বাড়িতে প্রতিদিনের অশান্তি লেগেই থাকত। প্রথম ও দ্বিতীয় স্ত্রীকেও মারধর করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয় সে। মাম্পি হল তার তৃতীয় পক্ষের স্ত্রী। বিয়ের পর থেকে তার উপরেও চলত অস্বাভাবিক অত্যাচার।

সেই গ্রামের এক বাসিন্দা ওরফে রবীন্দ্রনাথের বন্ধু জানিয়েছেন, রবীন্দ্রনাথ তাঁর কাছে একটি মোটরবাইক বিক্রি করতে এসেছিল। আর তখনই কথায় কথায় সে বলে ফেলে, তার বাড়িতে একটি দেহ পুঁতে রেখেছে! সঙ্গে সঙ্গে ওই বাসিন্দা পুলিশে খবর দেন। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে বেপাত্তা হয়ে যায় সে।

তারপরই ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ দেহ উদ্ধার করে। দেহটি যে মাম্পিরই, তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই এলাকাবাসীর। রবীন্দ্রনাথের পরিবারের সদস্যরাও দেহ শনাক্ত করেন। রবীন্দ্রনাথের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন গ্রামের মানুষ। তবে মূল অভিযুক্তের এখনও কোনো সন্ধান নেই। পুলিশদের পক্ষ থেকে তল্লাশি চলছে।