সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

প্রে’গ’নে’ন্ট নীনাকে বি’য়ে’র প্র’স্তা’ব দিয়েছিলেন সতীশ, ভিভের সন্তানের দা’য়ি’ত্ব নিতেও রা’জি ছিলেন!

মানুষের জীবন এতটাই অল্প সময়ের যে কে যে কখন আছি আর কখন নেই বোঝা দায়। যার যখন সময় আসে তাকে চলে যেতেই হয় এটাই ভবিতব্য। আর এভাবেই বলিউডের একটি বিখ্যাত চিত্র পরিচালক সতীশ কৌশিক চলে গেলেন। হলির দিনে বিষাদের ছায়া নেমে এলো পুরো ইন্ডাস্ট্রি জুড়ে। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত সতীশ কৌশিক।

এই কিংবদন্তী অভিনেতা সতীশ কৌশিক তিনি শুধুমাত্র দাপুটে অভিনেতাই ছিলেন না, একজন বিশিষ্ট পরিচালক হিসাবেও তাঁর যথেষ্ট নামডাক ছিল। কর্মজীবনে যেমন তাঁর সুনাম ছিল, তেমনিই ব্যক্তিগতজীবনেও ভালো মনের মানুষ ছিলেন প্রয়াত অভিনেতা সতীশ কৌশিক।

অবিবাহিত নীনা গুপ্তার গর্ভে যখন বিবাহিত ভিভ রিচার্ডের সন্তান আসে তখন অভিনেত্রীকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন বন্ধু সতীশ। বলিউডের এককালীন ফেমাস তারকা নীনা গুপ্তা তাঁর অটোবায়োগ্রাফি সচ কহু তো-তে সতীশের সেই মহান মানবতার কথা তুলে ধরেছেন। অভিনেত্রী তাঁর অটোবায়োগ্রাফিতে লিখেছেন, “চিন্তার কোনও কারণ নেই। যদি তোমার সন্তান কৃষ্ণ বর্ণের হয় তাহলে তুমি বলো দিও এটা আমার সন্তান। আমরা বিয়ে করে নেব। কেউ কিছু সন্দেহ করবে না।”

আরো খবর: অনুব্রতর মেয়ে সুকন্যার দা’য়ি’ত্ব এবার কার হা’তে?

সতীশও এক সাক্ষাৎকারে তার ও নিনার বন্ধুত্ব নিয়ে অনেক কিছু জানিয়েছিলেন, তিনি বলেন, ১৯৭৫ সাল থেকে নীনার সঙ্গে বন্ধুত্ব। খুব অল্প সংখ্যক মানুষই নীনার অন্তঃসত্ত্বার খবর জানত। নীনার দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছিলেন কারণ তিনি বন্ধুকে একা বিপদে ফেলে দিতে চাননি।

এই বিষয় নিয়ে এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে সতীশ বলেন, “আমি নীনার বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত ছিলাম। বন্ধুকে কখনও একা ফেলে দিতে চাইনি। বন্ধুই তো বন্ধুকে সাহায্যে করে। বন্ধুত্ব, সম্মান ও দায়িত্ববোধের খাতিরে আমি বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলাম। আমি তো আছি তোমার সঙ্গে। চিন্তা কেন করছো?”

শুধু নীনা গুপ্তাই নয়, একসময় ঐশ্বর্য্য রাই এর সাথে বিচ্ছেদের পর যখন সালমান খানকে নিয়ে চর্চা তুঙ্গে তখন ” তেরে নাম ” এর মত ছবি করতে দিয়েছিলেন সতীশ সালমান খানকে। এটা তার কেরিয়ারেও অনেক সাহায্য করেছিল। তাই তাঁর এই প্রয়াণে গোটা বলিউড শোক প্রকাশ করেছেন বলে জানা গেছে।