জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী – সিনেমা জগতের সাথে তাঁর বহুদিনের আলাপ। নয় নয় করে ৩৬ বছর অতিবাহিত হয়েছে এই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে। নিজের কাজের মাধ্যমে মানুষের মন জয় করেছেন তিনি। তিনি আর কেউ নন, জনপ্রিয় অভিনেত্রী ইন্দ্রাণী হালদার। বড়পর্দার পাশাপাশি ছোটপর্দা অর্থাৎ টেলিভিশনে চুটিয়ে কাজ করছেন তিনি।
বয়স পঞ্চাশের গণ্ডি পেরোলেও আজও তিনি অন্যতম সফল এক অভিনেত্রী। সম্প্রতি তাঁর নামে ভারত সরকার তরফে পাঁচ টাকার ডাকটিকিট প্রকাশিত হয়েছে বলেও জানা গেছে। ‘গোয়েন্দা গিন্নি’ থেকে শুরু করে ‘শ্রীময়ী’ সবেতেই তিনি যুগ যুগ জিও। শুধু বাংলাতেই নয়, হিন্দি টেলিভিশনেও সফল ইন্দ্রাণী হালদার।
জীবনে এত সাফল্য আসা সত্ত্বেও তাঁর মনে রয়ে গেছে এক বিরাট আক্ষেপ। যদিও তিনি মুখ ফুটে না বললে কেউ হয়তো তা জানতেই পারতো না। টেলিভিশনের পর্দার আদর্শ বউ, মা হিসেবে ইন্দ্রাণী হালদারের অভিনয় অনবদ্য। মানসিকতার দিক থেকে তিনি এতটাই ভালো মানুষ যে তার অনস্ক্রিন ছেলেমেয়েরা যেন তাঁর নিজের সন্তান।
দু-এক বছর জি বাংলার পর্দায় একটা নন ফিকশন রিয়েলিটি শো হত। নাম ছিল ‘অপুর সংসার’। শো-এর সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন অভিনেতা শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়। এই শো তে একের পর এক উপস্থিত হয়েছিলেন নামিদামি তারকারা। একবার ইন্দ্রাণী হালদারও এই শো-এ আসেন।
সেখানেই নানা কথাবার্তার মাঝে তাঁর বিষয়ে অনেক না জানা কথাও জানালেন দর্শকদের। পুরোনো এই সাক্ষাৎকারের ভিডিয়ো ফেসবুকে নতুন করে ভাইরাল হয়েছে, আর ইন্দ্রাণী ভক্তদের মন জিতে নিচ্ছে এটি। সাক্ষাৎকারে শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় প্রশ্ন করেন, “স্ত্রী হিসাবে নিজেকে কত নম্বর দেবে?” অভিনেত্রীর চটপট জবাব ছিল, “১০-এ জিরো”। তারপর নিজেই হেসে ফেলেছিলেন।
কারণস্বরূপ বলেছিলেন, “আমি একদম বাজে বউ… বরকে সকালবেলা রান্না করে ভাত বেড়ে দিই না। বর কলকাতায় এলে বলি ভাত বেড়ে খেয়ে নিও, আমার শ্যুটিং আছে.. চলো টাটা।…. ১০০ শতাংশ বউয়ের ডিউটি আর কোথায় করতে পারলাম”। শাশ্বত আবার প্রশ্ন করেন, “আর কী করলে নিজেকে একটু বেশি নম্বর দিতে?” তখন অভিনেত্রী বলেন, “এত বছর পর এসে একটা কথা আমি বলতে চাই।