এখনো পর্যন্ত পৃথিবী ছাড়া যে অন্য কোনো গ্রহে প্রাণ আছে কিনা সেটা জানা সম্ভব হয়নি। কোনো ভিনগ্রহের প্রাণীর বসবাস রয়েছে কি না সে বিষয়েও এখনো পর্যন্ত কোনো স্পষ্ট তথ্য মেলেনি।
বহু সিনেমা এবং নাটকে দেখানো হতো ভিনগ্রহীরা অত্যন্ত ক্ষতিকর মানব সমাজের প্রতি আসলে যে এমনটা নয় সেটাই এবার জানিয়েছেন স্টিভেন স্পিলবার্গের ইটি পরিষ্কার ভাবে বোঝানো হয়েছে যে ভিন গ্রহের এলিয়েনরা সব সময় যে মানুষের শত্রু হবে তার কোনো মানে নেই, মানুষের সঙ্গে যে তাদের বন্ধুত্ব হতে পারে সেটাই বোঝানো হয়েছে।
ঋত্বিক রোশনের অভিনীত “কোয়ি মিল গা”য়া সিনেমাটিতে ও দেখানো হয়েছে এলিয়েনদের সঙ্গে মানুষের বন্ধুত্বের সম্পর্ক। যাইহোক এই সমস্ত সিনেমার ওপর ভিত্তি করেই আমরা মনে করতে পারি যে ভিনগ্রহীরা আমাদের প্রতি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন করবে। এই ধারণাকে বর্তমানে একদমই ভুল বলেই জানালেন একটি গবেষণাপত্র।
আরো পড়ুন: বাথরুম ও রান্নাঘরের জলের কল খা’রা’প হয়ে যাওয়া খুবই অ’শু’ভ সংকেত, জানুন বাস্তু’মতে প্রতিকার
সেই গবেষকের দাবি পৃথিবী যে গ্যালাক্সির অন্তর্গত আমরা ছায়াপথে বাস করছি এবং এই ছায়াপথে প্রায় ৪ প্রানীর বাস রয়েছে এবং সেই সমস্ত প্রজাতি নাকি অত্যন্ত ক্ষতিকারক মানবজাতির কাছে,যে কোন মুহূর্তে তারা আক্রমণ করতে পারে।
স্পেনের বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি ডিগ্রির গবেষণারত ছাত্র আলবেরতো ক্যাবালেরো এই রকমই একটি বার্তা দিয়েছে পৃথিবীবাসীর জন্য। তিনি একটি গবেষণা করেছেন এবং যে গবেষণাপত্রটি এখনো পর্যন্ত বিশেষজ্ঞ কমিটির পক্ষ থেকে অনুমোদন পায়নি।
তার এই বিষয়ে আরও একটি গবেষণায় প্রকাশিত হয়েছিল এবং তিনি দাবি করেছিলেন যে ভিনগ্রহীরা মানব সমাজের প্রতি অত্যন্ত ক্ষতিকারক।
তবে এই বিষয়ে তিনি জানান যে, ভিনগ্রহীরা মানবসভ্যতাকে আক্রমণ করবে কিন্তু গ্রহাণুপুঞ্জের সঙ্গে পৃথিবীর সংঘর্ষের ফলেই একমাত্র পৃথিবীর নষ্ট হবে। তবে এই ধরনের গবেষণা কি আদৌ সত্যি সে বিষয়েই এখন তদন্ত চালাচ্ছে বিশেষজ্ঞরা।