সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

উত্তরবঙ্গ জু’ড়ে লাল স’ত’র্ক’তা, তিস্তার জল বিপদসীমার উপর দি’য়ে বইছে

গোটা উত্তরবঙ্গের জুড়ে চলছে বৃষ্টির তান্ডব কোথাও ধস তো কোথাও বাড়ছে জলের স্তর। ইতিমধ্যে প্রবল বর্ষণে জলের স্তর বাড়ায় জারি করা হলো লাল সর্তকতা। সেচ দপ্তর এর তরফ থেকে সর্তকতা জারি করে জানানো হয়েছে মঙ্গলবার বিকেলে জলের স্তরের পরিমাণ আরবার।

প্রবল বৃষ্টিপাতের জেরে তিস্তার জল ক্রমশই বেড়ে চলেছে যার ফলে লাল সর্তকতা জারি করা হয়েছে সেচ দপ্তরের তরফ থেকে। সেচ দপ্তরের ফ্লাট কন্ট্রোলরুমে তরফ থেকে জানানো হয়েছে ইতিমধ্যেই প্রবল বৃষ্টিপাতে জেরে তিস্তার জল বাড়ার কারণে লাল সর্তকতা জারি করা হয়েছে।

সোমবার গভীর রাত থেকে মঙ্গলবার সকাল নটায় ২,২৫০ কিউসেক জল ইতিমধ্যেই ছাড়া হয়ে গেছে তিস্তা ব্যারেজ থেকে এবং এই জল চারটে নাগাদ পৌঁছাবে দোমহনিতে। এর ফলে ক্রমশই জলস্তর আরো বাড়তে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে, অন্যদিকে জলের স্তর কমছে জলঢাকা নদীতে।

আরো পড়ুন: উদ্ধব ঠাকরের ঘুম উ’ড়ে’ছে, সরকার হাতছাড়া হওয়ার আ’শ’ঙ্কা’য় শিবসেনা

প্রবল বৃষ্টির জেরে তিস্তা ব্রিজ সংলগ্ন যে সমস্ত পাহাড়ী এলাকার জল সেগুলো ক্রমশই তিস্তা নদীতে নামছে এর ফলে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে এলাকাবাসীরা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় একজন বাসিন্দা রাজেশ রায় জানিয়েছেন, যেভাবে জল বাড়ছে তাতে চাষের জমি গুলোতেও জল ঢুকে যাচ্ছে এর ফলে মহা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে তারা।

আবার তিস্তার জল বাড়বে এ খবরটি শুনে তারা আরো আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। মঙ্গলবার সকালে ২,২৫০ কিউসেক জল ছাড়ার পরে তিস্তার অসংরক্ষিত এলাকাজুড়ে জারি করা হয়েছে লাল সর্তকতা।

বিকেল চারটের পরে এই জল আরো বাড়বে অসংরক্ষিত এলাকাগুলিতে, অন্যদিকে জলঢাকা নদীর জল স্তর ক্রমশ কমতে থাকবে।ইতিমধ্যেই নদীর বাঁধ এর কাজ শুরু হয়েছে এবং বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য জেলা প্রশাসকের তরফ থেকে চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

প্রবল বর্ষার কারণে ব্রিজের ক্ষতি হচ্ছে অন্যদিকে মালবাজার তেজিমলা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার সমস্ত কিছুই জলমগ্ন। প্রবল বৃষ্টিতে জলমগ্ন রয়েছে ডুয়ার্সের বানারহাট মালবাজার শহরের কিছু এলাকা। প্রবল বৃষ্টিপাতের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মালবাজার মহাকুমার নিগাম চা বাগানের একটি ব্রিজ।