চলতি বছর ভারতের ঝুলিতে রয়েছে অনেকগুলি জাতীয় পুরস্কার। বহু জায়গায় বহু ক্ষেত্র বিশেষে সেই পুরস্কার প্রাপ্ত করেছেন ভারতীয় প্রতিভাবানরা। সেরকমই সেরা মৌলিক গানের তকমা পেয়ে ‘আরআরআর’-এর ‘নাটু নাটু’ ইতিহাস সৃষ্টি করেছে৷ অস্কারের মঞ্চে যখন গানের স্রষ্টা এমএম কীরাবাণি পুরস্কার নিচ্ছেন, দর্শকাসনে তখন আনন্দের জোয়ারে ভাসছেন সস্ত্রীক পরিচালক রাজামৌলি, জুনিয়ার এনটিআর এবং রাম চরণ ও তাঁর স্ত্রী উপাসনা কামিনেনি৷
এই ৯৫ তম অ্যাকডেমি অ্যাওয়ার্ডসের অনুষ্ঠানে রামের পাশে উজ্জ্বল উপস্থিতি ছিল তাঁর স্ত্রী উপাসনার৷ দর্শকের চোখে এ ছিল দম্পতির প্রগাঢ় ভালবাসার প্রকাশ, কিন্তু এর পিছনে একটি বিশেষ কারণও ছিল। সেটি সকের সামনে আনলেন রমচরণ পত্নী উপাসনা৷
তিনি হিউম্যানস্ অফ বোম্বেকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে জানালেন, রামচরণ ‘রীতিমতো কাঁপছিলেন’৷ তাঁর কথায় ‘‘আমাকে ওঁর পাশে থাকতে হয়েছিল কারণ তখন ওর শরীরটা রীতিমতো কাঁপছিল৷ ওর পাশে থাকাটা জরুরি ছিল৷’’ তবে লস অ্যাঞ্জেলসের এই সফর যে তাঁদের দু’জনের জন্যই চমৎকার ছিল, এ কথা জানাতে ভোলেননি উপাসনা।
আরো খবর: BMW-তে বসে মদনের হাতে হাত মধুমিতার, কোথায় চললো নয়া জুটি?
তিনি আরো বলেন যে, এই ‘আরআরআরে’র শ্যুটিং দীর্ঘ দিন ব্যাপী চলেছিল৷ তার মাঝেই পুরো ইউনিট যেন একটা পরিবার হয়ে উঠেছিল৷ এই পরিবারের সঙ্গে ভীষণভাবে জড়িয়ে গিয়েছিলেন রামের স্ত্রী উপাসনাও৷
চিরঞ্জীবীর বৌমা জানালেন ‘‘নাটু নাটু শ্যুটিংয়ের সময় ইউক্রেনে আমি ছিলাম। তার পর অস্কার পাওয়ার মুহূর্তেও আমি থেকেছি৷ আবার আমার কর্মজীবনের প্রতিটা কঠিন মুহূর্তে আমার পাশে থেকেছে রাম৷’’
তবে এত সুসংবাদের মধ্যেও আরো একটি সুসংবাদ শোনালেন চিরঞ্জিবি নিজে যে, খুব তাড়াতাড়ি এই দম্পতির কোলে আসবে তাঁদের প্রথম সন্তান যা তিনি টুইটারের মাধ্যমে সকলকে জানান। তাই রাম চরণের পরিবার এখন খুশিতে ভাসছেন বলাই বাহুল্য।