রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এই মাসের ২৪ তারিখ থেকে সরাসরি ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। ইউক্রেন ও রাশিয়ার বিরুদ্ধে সর্বশক্তি দিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলছে বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদেমির জিলেনস্কি।
ভলোদেমির জিলেনস্কি ফ্রান্স ও নেদারল্যান্ডের মতো দেশের কাছ থেকে ইউক্রেন সামরিক সাহায্যে পাচ্ছে বলে দাবি করেছেন। এই যুদ্ধের ফল শেষ পর্যন্ত কী হয়, সেদিকে নজর গোটা বিশ্বের। কিন্তু জানেন কি, অনেক বছর আগেই প্রায় নির্ভুল ভাবে এই যুদ্ধের ভবিষ্যত্বাণী করে গিয়েছিলেন বুলগেরিয়ার অন্ধ ভবিষ্যত্বক্তা বাবা ভাঙ্গা।
বাবা ভাঙ্গার ২৬ বছর আগে ১৯৯৬ সালে মৃত্যু হয়। নস্ট্রাদামুসের মতো এই দৃষ্টিহীন মহিলাও বহু বিষয়ে নির্ভুল ভবিষ্যত্বাণী করে গিয়েছেন। তার মধ্যে অন্যতম হল ৯/১১-র টুইন টাওয়ার ধ্বংস হওয়ার ঘটনা এবং ব্রেক্সিট। সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া একটি রিপোর্ট অনুসারে রাশিয়া ক্ষমতার শীর্ষে উঠবে বলে ভবিষ্যত্গণনা করে গিয়েছেন বাবা ভাঙ্গা।
আরো পড়ুন: আধার কার্ডের সা’থে রেশন কার্ডের লিংকের শে’ষ সময় বেঁ’ধে দি’লো রাজ্য, আজই সেরে নিন এই কা’জ
তিনি ইউরোপের শক্তি ক্রমশ অস্তমিত হবে বলেও জানিয়েছেন। পুতিনকে কেউ থামাতে পারবে না বলে দাবি তাঁর। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট গোটা পৃথিবী শাসন করবে বলে ভবিষ্যত্ গণনা করেছিলেন তিনি। বুলগেরিয়ার এই দৃষ্টিহীন ভবিষ্যত্বক্তার কথা মেনে নিলে ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার যে শুধু বিপুল ভাবে জয় হবে, তাই নয়।
পুতিন গোটা পৃথিবীর সামনে নিজেদের পেশিশক্তি তুলে ধরতে সক্ষম হবেন। তবে তাঁর নিজের দেশেই এই যুদ্ধের বিরোধিতা উঠে আসছে। তাই নিজের দেশে পুতিনের জনপ্রিয়তা যে কমবে তাও মনে করছেন জ্যোতিষবিদরা।
১৯১১ সালে জন্ম বাবা ভাঙ্গার। ১৯৯৬ সালে ৮৫ বছর বয়সে মৃত্যু হয় তাঁর। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল ভবিষ্যত্বাণী করার ক্ষমতা জন্ম থেকেই তাঁর ছিল না।
একবার টর্নেডোর প্রচণ্ড হাওয়া তাঁকে আকাশে তুলে দেয়, তারপর পাশের মাঠে আছাড় দিয়ে ফেলে। এই ঘটনায় দৃষ্টশক্তি চলে যায় তাঁর, কিন্তু ভবিষ্যত্ দর্শনের অসাধারণ ক্ষমতা লাভ করেন তিনি। তাঁর ভক্তদের মনে বিশ্বাস যে ৫০৭৯ সাল পর্যন্ত ভবিষ্যত্বাণী করে গিয়েছেন তিনি।