রাশিয়া ২০২২ সালের ২৪শে ফেব্রুয়ারি ইউক্রেন আক্রমণ করে যেটিকে আন্তর্জাতিকভাবে আগ্রাসন হিসেবে বিবেচনা করা হয়।এই যুদ্ধটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে ইউরোপের সবচেয়ে বড় শরণার্থী সংকটের সূত্রপাত করে। ৮.৮ মিলিয়নেরও বেশি ইউক্রেনীয় দেশ ছেড়ে অন্য দেশে চলে গেছেন। লক্ষাধিক ইউক্রেনিয়ান ও রাশিয়ান নাগরিক ও সেনা নিজেদের প্রণ হারিয়েছেন।
রাশিয়া পরবর্তীকালে ইউক্রেনের ক্রিমিয়াকে নিজের দেশের অন্তর্ভুক্ত করে, এবং রুশ-সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীরা ইউক্রেনের দক্ষিণ-পূর্ব দোনবাস অঞ্চলের কিছু অংশ দখল করে, এখানেই যুদ্ধের সূত্রপাত ঘটে।
‘ভ্লাদিমির পুতিন একদিন তাঁর কাছের লোকের হাতেই খুন হবেন’- এমনটাই দাবি করলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি। ‘ইয়ার’ নামের সদ্য প্রকাশিত একটি ডকুমেন্টারিতে তিনি এমনটাই জানিয়েছেন।তিনি আরও দাবি করেছেন ‘ক্রিমিয়া আমাদের অংশ, ক্রিমিয়ার বাসিন্দারা আমাদের লোক, ক্রিমিয়া আমাদের ইতিহাসের সাক্ষী।’
আরো খবর: কাক এঁকে পেয়েছেন ১০ লক্ষ, এবার কোকিল এঁকে পা’বে’ন ৩০ লক্ষ, কুণালের খোঁ’চা শুভাপ্রসন্নকে
তথ্যচিত্রটি ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার আগ্রাসনের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে তৈরি করা হয়েছে।তবে এখনো রাশিয়া কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত ,২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আমেরিকা ও ইউরোপীয় দেশের নিষেধাজ্ঞাগুলি আরও তীব্র, শক্তিশালী, ও বিস্তৃততর হয়েছে ।যা রুশ অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দিয়েছে।
যেমন – ব্যাঙ্কিং ও আর্থিক পরিষেবা, রপ্তানি ও আমদানি, পরিষেবা, প্রযুক্তি, শক্তি (তেল, গ্যাস এবং কয়লা, তবে বিশেষ করে অরক্ষিত ই ইউ দেশগুলির জন্য সুরক্ষা এবং ছাড়ের ব্যবস্থা সহ), ইস্পাত, খনি, এবং কৃষিসম্পর্কিত বিভিন্ন ক্ষেত্রের উপর নিষেধাজ্ঞা।
রাশিয়া পেট্রোলিয়াম ও LPG র একটি বৃহৎ রপ্তানিকারক দেশ।এই সব নিষেধাজ্ঞার কারণে রাশিয়ার অর্থনীতি যেমন ভেঙে পড়েছে,ঠিক তেমনি আন্তর্জাতিক বাজারে পেট্রোপণ্যের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে।সমগ্র বিশ্ব এর দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে।