পুরুলিয়া শহরে প্রায় ঘণ্টা খানেক ধরে মুষলধারায় বৃষ্টি। বৃষ্টির সঙ্গে ছিল ঝোড়ো হাওয়া। প্রায় ১০ মিনিট ধরে চলে ধূলিঝড়। চারদিক ধুলোয় ঢেকে যায়। দু হাত দূরের মানুষও অদৃশ্য হয়ে যায়।
এদিন অল্প সময়ের জন্য হলেও রীতিমতো তাণ্ডব চালায় ধূলিঝড়। তারপর ধূলিঝড়ের তাণ্ডব থামতেই নেমে আসে স্বস্তির বৃষ্টি। টানা দু-মাস পর এদিনই প্রথম কালবৈশাখীর বৃষ্টিতে ভিজল পুরুলিয়া।
সমগ্র জেলাজুড়েই কম-বেশি বৃষ্টি হয়েছে। তবে পুরুলিয়া শহরে প্রায় ঘণ্টা খানেক ধরে মুষলধারায় বৃষ্টি হয়। বৃষ্টির সঙ্গে ছিল ঝোড়ো হাওয়া।
আরো পড়ুন: বি’রা’ট ঝা’মে’লা’য় পড়লো মোবাইল নির্মাণকারী সংস্থা Xiaomi, ৫৫৫১ কোটি টা’কা বাজেয়াপ্ত
কালবৈশাখীর প্রথম ঝড়ে বেশ কয়েক জায়গায় গাছের ডালও ভেঙে পড়ে। বলা যায়, পুরুলিয়া শহরে একেবারে দাপট চালায় কালবৈশাখী।
তবে গাছের ডাল ভেঙে পড়া ছাড়া বিশেষ কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর নেই। অন্যদিকে, পুরুলিয়া শহরের বাইরে ঝোড়ো হাওয়া চললেও বৃষ্টি খুব বেশি হয়নি। কেবল মাটি ভিজেছে।
তবে, বান্দোয়ানে বৃষ্টির আগে ১০ মিনিট ধরে যে ধূলিঝড় চলল, তা রীতিমতো সকলকে চমকে দিয়েছে। ধূলিঝড়ের পর বান্দোয়ানে নেমে আসে স্বস্তির বৃষ্টিও। বৃষ্টির পরিমাণ খুব বেশি না হলেও স্বস্তি নেমেছে লাল মাটির দেশে।
পুরুলিয়ার মতো বাঁকুড়াতে বিকালেই নেমে আসে অন্ধকার। তারপর সাড়ে ৫টা থেকে শুরু হয় মুষলধারে বৃষ্টি। সঙ্গে ছিল ঝোড়ো হাওয়া। এদিন যাকে বলে, কালবৈশাখীর তাণ্ডব।
বাঁকুড়া শহর থেকে শুরু করে জেলার সর্বত্র এদিন ঝড়-বৃষ্টি হয়। তবে বৃষ্টির পরিমাণের তুলনায় ঝড়ের দাপট ছিল অনেকটাই বেশি।